শক্তিশালী হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ফণী, প্রস্তুত কক্সবাজার প্রশাসন

ডেস্ক রিপোর্ট – অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে বঙ্গোপসাগরে প্রবল শক্তি সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। শুক্রবার ভারতের ওড়িশা উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ‘ফণী’র। শক্তি সঞ্চয় করে ধীর গতিতে বঙ্গোপসাগরে ঘোরপাক খাওয়া এই ঝড়ের তাণ্ডবে একেবারে ধ্বংসাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে ভারতের তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ভারতের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আঘাত হানার পর কিছুটা দুর্বল হয়ে আগামী ৪ মে (শনিবার) বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং উপজেলা সমুহে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পাশাপাশি উপজেলা ও উপকূলীয় অঞ্চল গুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো: আশরাফুল আশরাফ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটি গুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে। একইভাবে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সকল সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র গুলো। পাশাপাশি উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের কথা বিবেচনা করে কক্সবাজার ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনারের সাথে আলাদাভাবে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, বঙ্গোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণী আজ দুপুরে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, চট্টগ্রাম সমদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পুরো বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।

আরও খবর