এক তরুণ নিজের শরীরে পেট্রল ঢেলে প্রেমিকাকে ভয় দেখিয়ে বিয়েতে রাজি করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটাই যে তার কাল হয়ে দাঁড়াবে সেটা ক্ষুণাক্ষরেও ভাবতে পারেননি তিনি। তার এমন কাজে প্রেমিকা বিয়েতে রাজি হয়নি, উল্টো জলন্ত ম্যাচের কাঠি ছুড়ে প্রেমিকের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের লক্ষ্ণৌর হাসানগঞ্জে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২০ বছর বয়সী ওই তরুণের নাম অরবিন্দ নিশাদ। তার বাড়ি হাসানগঞ্জ থানার খাদরা এলাকায়। তার শরীরের ৬০ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। গত ২০ এপ্রিল এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শনিবার হাসানগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন ওই তরুণের মা।
দগ্ধ নিশাদের বরাত দিয়ে হাসানগঞ্জ থানার পুলিশ কর্মকর্তা ধীরাজ শুক্লা জানান, সম্প্রতি ১৫ বছর বয়সী ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন নিশাদ। কিন্তু মেয়ের বয়স কম হওয়ায় এখন বিয়েতে রাজি ছিল না তার পরিবার। এ বিষয়ে আলোচনা করতে গত ২০ এপ্রিল মেয়েটি তার মায়ের সঙ্গে নিশাদের বাড়িতে আসে। মেয়ে সাবালিকা হলে নিশাদের সঙ্গেই বিয়ে দেওয়ার কথা দেন তার মা।
তবে এতে রাজি হননি নিশাদ। তিনি এখনই বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। মেয়েটিকে বিয়েতে রাজি করাতে এক পর্যায়ে নিজের শরীরে পেট্রেল ঢেলে দেন নিশাদ। মেয়েটি বিয়েতে রাজি হয়নি বরং জলন্ত ম্যাচের কাঠি ছুড়ে প্রেমিকের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় সে। এ সময় প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় নিশাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান তার মা। বর্তমানে নিশাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় নিশাদের মা মামলা করেছেন। তবে মামলায় নিশাদের মা যে অভিযোগ করেছেন তার সঙ্গে নিশাদের বক্তব্যের কিছু অমিল রয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ১ বছর ধরেই নিশাদের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক। সম্প্রতি ওই মেয়ের মা ২ লাখ রুপি ও স্বর্ণালঙ্কার দিয়ে নিশাদকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছিলেন। এ ঘটনায় মেয়েটির কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করছিল নিশাদ। এরপরও মেয়েটির মা বিয়ের আলোচনা করতে নিশাদের বাড়িতে আসেন। পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাড়িতেই নিশাদের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় মেয়েটির পরিবার।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-