বিশেষ প্রতিবেদক :
মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের কারনে স্থানীয়রা সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দাবি কওে বক্তারা বলেন এনজিওদের বরাদ্ধখাতের ৩০ শতাংশ অনুদান ক্ষতিগ্রস্থদের বিতরনের জন্য রাখতে বাধ্যবাধকতা রাখার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, উখিয়ার আড়াই লক্ষ মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ, আক্রান্ত ও নিপীড়িত হচ্ছে। এস.এস.সি পাশ ছাত্র-ছাত্রী টাকার মোহে এনজিওর চাকুরীতে ঢুকে পড়ার কারনে দক্ষিনাঞ্চল পড়ালেখায় অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার ২৩শে এপ্রিল সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পি.আই.ভি.ডি.বি আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গাদের যাবতীয় নিউজ কভারেজ দিতে গিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা স্থানীয়দের মত ক্ষতিগ্রস্থ হলেও কোন এন.জি.ও সংস্থা এ পর্যন্ত তাদের প্রতি সহানুভুতি প্রকাশ করেনি।
কৃষি অফিসার মো: শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্তে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় পি.আই.ডি.বি কর্মসূচী সমন্বয়ক হাসান আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, তারা হাকিমপাড়া ১৪নং ক্যাম্পে ৫৩০জন রোহিঙ্গাকে গ্যাস সিলেন্ডার বিতরন করছেন।
৩৬টি রোহিঙ্গা পরিবারকে দৈনিক ৩৫০টাকা হরে নগদ অর্থ বিতরন করছেন।
স্থানীয় ১১১টি পরিবারকে সমপরিমান অনুদান বিতরন করা হচ্ছে। প্রোগাম ম্যানেজার অপারেশন পি.আই.ভি.ডি.বি মো: নুরুল ইসলাম বলেন, তারা অন্যান্য এন.জি.ওর সাথে সমন্বয় করে কাজ করছেন যাতে একটি রোহিঙ্গা পরিবার একের অধিক সুবিধা ভোগ করতে না পারে।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখতে গিয়ে উখিয়া প্রেসক্লাবের সরওয়ার আলম শাহীন বলেন, যেভাবে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন খাতে ত্রান সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরন করা হচ্ছে। একইভাবে স্থাণীয় ও উখিয়া প্রেসক্লাবের কর্মরত সাংবাদিকদের অনুদানের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গার কারনে উখিয়া আজ ধুলোবালির শহরের পরিনত হয়েছে। আধা ঘন্টার পথ অতিক্রম করতে ৩ ঘন্টা সময় ব্যয় হচ্ছে। এর জন্য দায়ী রোহিঙ্গারা। আর এসব রোহিঙ্গাদের নিয়মিত খবরাখবর পত্রিকায় পৌছাঁতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক মারাত্বক রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাই সাংবাদিকদের প্রতি এন.জি.ওদের সুনজর দেওয়ার আহ্ববান জানান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-