নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার গর্জনিয়ার বাকঁখালী বালিমহল থেকে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের দায়ে বালি ভর্তি ডাম্পারসহ এক জনকে আটক করে ৬ মাসের সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
২১ এপ্রিল রবিবার রাতে রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছাই তোয়াহেলা চৌধুরীর নেতৃত্ব গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়িঁর এক দল পুলিশ সদস্য গোপন সংবাদের ভিক্তিতে গর্জনিয়া সেতুর নিচে ওই বালি মাহলে অভিযানে গেলে, রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ফাক্রির কাটা তুলাতলি এলাকার রশিদ আহাম্মদের পুত্র ডাম্পার গাড়ি মালিক মোঃ ইসমাইল (৪০) এর নেতৃত্বে ৫/৬ জন শ্রমিক ওই বালি মাহলে ডাম্পার গাড়িতে বালি ভর্তি অবস্থায় পেলে, ঘটনাস্থল থেকে ডাম্পারসহ ইসমাইলকে আটক করা গেলেও বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
রামু সহকারী কমিশনার ভূমি জানান, এই ঘটনায় আটক ইসমাইলকে ৬ মাসের সাজা দিয়ে ককসবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে পরে তার পারিবারিক বিষয় বিবেচনা করে আটক কৃত ডাম্পার গাড়িটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান এসিল্যান্ড।
সূত্র জানিয়েছে, রামুর গর্জনিয়া গর্জই খাল, কচ্ছপিয়া বাকঁখালী খাল, দৌছড়ি খাল ও জামছড়ি খালের বালি মহাল থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রাক বালি উত্তোলন অব্যহত রেখেছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। যার কারনে সরকার হারাচ্ছে লাখ টাকার রাজস্ব। আর ফসলী জমি যাচ্ছে নদী গর্ভে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন অফিস সুত্র জানিয়েছে, গত ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ কক্সবাজার রাজস্ব শাখায় উল্লেখিত বালি মহাল টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা দেওয়া হয়। আর সে ইজারা নিয়েছিল গর্জনিয়া সিকদার পাড়ার রাজামিয়ার ছেলে আবদুল্লাহ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইজারাদার আবদুল্লাহ ও তার লোকজন মিলে ওই ইজারা পাওয়ার পর থেকে নিয়মিত শতাধিক গাড়ি দিয়ে বালির মহাল থেকে সারা বছর নিয়মিত বালি উত্তোলন করলেও উল্লেখিত বালির মহালে কোন প্রকার বালি উত্তোলন ওই আবদুল্লাহ করে নাই বলে মিথ্যা তথ্য ও ইজারার কাগজ পত্র তাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বুঝিয়ে দেননি বলে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। যার নং ৩১৫০/ ১৯ ইং।
এতে আদালত শুনানি শেষে চলতি বছরের ওই বালি মহালের ইজারাসহ সমস্ত কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে আদেশসহ রোল দেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-