অনলাইন ডেস্ক- রোহিঙ্গাদের জন্য কোনো সহায়তাই পর্যাপ্ত নয় উল্লেখ করে জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে জাপান।বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়েসু ইজুমি সম্প্রতি ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাস্তুচ্যুত জনগণকে সহায়তা ও স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত কমিউনিটিকে সহযোগিতা করতে আমাদের অনেক কাজ করার আছে। একই সঙ্গে তাদের (রোহিঙ্গা) নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং মর্যাদার সঙ্গে প্রত্যাবাসনের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’
২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর দ্বারা নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়। এর আগেও কয়েক দফা নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকরা।
বর্তমানে মিয়ানমারের প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয়ে আছে।মিয়ানমারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় জাপান সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘এই কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত রাখতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানবিক দিক বিবেচনায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এই মানবিকতাকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই। এ বাস্তুচ্যুত জনগণ ও স্থানীয় কমিউনিটির জন্য আমাদের এখনো অনেক কিছু করার আছে। কারণ কোনো সহায়তাই তাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।’
রোহিঙ্গা ও ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় কমিউনিটির সহায়তায় জাতিসংঘ, জাপানিজ এনজিও ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের মাধ্যমে জাপান সরকার এরই মধ্যে ৮২.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সরবরাহ করেছে বলেও জানান এ রাষ্ট্রদূত।
এই সহায়তার পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাত, পানি সরবরাহ, দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলা এবং বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জাপানের সহায়তা সংস্থা জাইকা কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-