বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান’, ইমামকে পেটালেন তিন তরুণী

ডেস্ক রিপোর্ট – বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়’ বোরকা পরে মসজিদের ইমাম মো. সৈয়দ আহাম্মেদের চোখে মরিচ ছিটা দিয়েছে তিন তরুণী। এসময় তারা ইমামকে পিটায়। তবে মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি তরুণীর বাবা নিজের মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে এ কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে দাবি করছেন।

বুধবার ভোরে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের রূপসা দক্ষিণ ইউপির সাহেবগঞ্জ গ্রামের কুটিরবাজার জামে মসজিদে এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পর আহত ইমামকে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন এলাকাবাসী।

কুটিরবাজার জামে মসজিদের মোয়াজ্জেন সিরাজ উল্যা, মুসল্লী বশির, তানভির হোসেন বলেন, মসজিদের সহ সভাপতি নুরুল আমিনের মেয়ে রিমাকে বিয়ে করতে ইমামকে প্রস্তাব দেয়া হয়। তবে ইমাম অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমামকে হুমকি-ধামকি দেয়া হয়। ঘটনার দিন ওই বোরকা পরিহিত তিন নারী ফজরের নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইমামের উপর মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ও লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এসময় মুসুল্লিরা তিন নারীকে আটক করলেও রিমা থাকায় ছেড়ে দেয়া হয়।

অন্যদিকে, মসজিদের সহ সভাপতি নুরুল আমিন বলেন, মসজিদের ইমাম বহুদিন ধরে এলাকার কিছু বখাটে ছেলেদের নিয়ে মেয়েকে উক্ত্যক্ত করছিলেন। মসজিদ কমিটির সভাপতির কাছে নালিশ করে বিচার পাইনি। তবে হামলার ঘটনা স্বীকার করে তিনি বলেন, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এ কাজটি করেছে।  

মসজিদের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, রিমাকে উত্ত্যক্তের খবর শুনে ইমামকে চাকরি ছাড়তে বলেছিলাম। তিনি চলেও গিয়েছিলেন। তবে মসজিদ কমিটির লোক তাকে পুনরায় নিয়ে আসে। তাই দুই মাস ধরে ইমামের পিছনে নামাজ পড়িনি।
হামলার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ওই সময় পরীক্ষার কাজে বাহিরে ছিলাম।

মসজিদের ইমাম সৈয়দ আহম্মেদের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এদিকে, ঘটনার পরপরই স্থানীয় এলাকাবাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তারা হামলাকারী ওই তিন নারীর বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। এমনকি তারা গণস্বাক্ষর করে অভিযোগ দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রকিব বলেন, কোন পক্ষই আমাদেরকে জানায়নি। তবে বিষয়টি জানতে পেরেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর