বান্দরবানে নারী মেম্বারকে লাথি মারলেন চেয়ারম্যান

বান্দরবান প্রতিনিধি :

বান্দরবানের রুমায় ছোমাচিং মারমা নামে এক নারী মেম্বারকে লাথি মেরেছেন পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যান।

স্থানীয়রা জানায়, জেলার রুমা উপজেলা সদরে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে বুধবার দুপুরে ভাত খাচ্ছিলেন পাইন্দু ইউনিয়নের ১,২,৩ নাম্বার ওয়ার্ডের নারী মেম্বার ছোমাচিং মারমা (৩০)। ঐ সময় পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমাও সেখানে খাবার খেতে যান। এসময় তিনি ছোমাচিং মারমাকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ায় নারী সদস্য (মেম্বার) পদ থেকে পদত্যাগের কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সবার সামনে ছোমাচিংকে লাথি মেরে চেয়ার থেকে ফেলে দেন চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা।

এ ঘটনায় নারী মেম্বার ছোমাচিং মারমা রুমা থানায় অভিযোগ করতে গেলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমাসহ দুজনকে তার বাসায় ডেকে নিয়ে যান। পরে পাইন্দু ইউপি চেয়ারম্যানকে নারী মেম্বারের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। কিন্তু তারা রাজি হয়নি।

অভিযুক্ত পাইন্দু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উহ্লামং মারমা বলেন, নারী মেম্বার ছোমাচিং মারমা আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। ক্ষিপ্ত হয়ে আমি তাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছি। রাগের মাথায় আমার বিষয়টি ভুল হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানও হয়েছে।

তবে নারী মেম্বার ছোমাচিং মারমা বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোনো মীমাংসা হয়নি। দু’একদিনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করব আমি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কাশেম জানান, ঘটানাটি আমি মানুষের কাছ থেকে শুনেছি। তবে এঘটনায় থানায় এখনো মামলা হয়নি। ভুক্তভোগীও কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যস্ত প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বৃহস্পতিবার নিয়োগপত্র গ্রহণ করেছে নারী মেম্বার ছোমাচিং মারমা।

আরও খবর