ছবি: সংগৃহীত
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটাক্ষ বা অপমান করার শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকর করতে যাচ্ছে ইসলামী গণতান্ত্রিক দেশ ব্রুনাই। এছাড়া সমকামিতা, পরকীয়া, ব্যাভিচার, ধর্ষণের করার শাস্তি হিসেবেও উন্মুক্ত মঞ্চে পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ডের আইন চালু করতে যাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্রটি।
আগামী ৩ এপ্রিল থেকে দেশটিতে এই আইন কার্যকর করা হবে। তবে তার জারি করতে যাওয়া এই আইনের কারণে দেশটি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে।
জাতিসংঘ সহ অনেক আন্তর্জাতিক অনেক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ব্রুনাইয়ের এমন আইনের কড়া বিরোধিতা করছে। জাতিসংঘ ইতিমধ্যে ব্রুনাইয়ের এ আইনকে ‘নিষ্ঠুর ও অমানবিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর কড়া সমালোচনা করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান মিশেল ব্যাচলেট সোমবার এক বিবৃতিতে ব্রুনাইয়ের এই আইন কার্যকর না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া অনেক দেশ এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
ব্রুনাইয়ের সুলতান হাসানাল বোলকিয়া ২০১৩ সালে ইসলামি শরিয়া আইনে দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেন।
১৯৮৪ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে আলাদা হলেও এখনো ব্রিটেনের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক রয়েছে ব্রুনাইয়ের। দেশটিতে শুরু থেকে অনেক বেশি ধর্মীয় গোঁড়ামি বলে পরিচিত। মুসলিম অধ্যুষিত ব্রুনাইয়ে মদ বিক্রি থেকে মদ্যপান সবটাই নিষিদ্ধ। এছাড়া জুয়াও দেশটিতে এক প্রকার নিষিদ্ধ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-