ডেস্ক রিপোর্ট – বাংলাদেশের সীমান্ত জেলা কক্সবাজারের উদ্বাস্তু শিবিরগুলো থেকে এক লাখের মতো রোহিঙ্গাকে ভাসানচর নামে একটি দ্বীপে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন নাও হতে পারে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবুল মোমেনের বরাত দিয়ে স্থানীয় পত্রিকা বাংলাদেশ ক্রনিকল লিখে যে, তিনি ও তার সরকার মনে করে দ্বীপে গেলে রোহিঙ্গারা আরো ভালোভাবে থাকতে পারবে। কিন্তু বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই স্থানান্তরের জন্য নানা শর্ত দিচ্ছে, তারা গমনকে স্বেচ্ছামূলক হতে হবে বলে চাপ দিচ্ছে।
২৫ মার্চ, জাতিসংঘ জানায় যে তারা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের বিকল্প স্থানে সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে। জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়, ভাসান চরে রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদ ও টেকসই জীবন যাপন করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য তাদেরকে স্থানান্তরের আগে যেসব ক্রিটিক্যাল প্রটেকশন ও অপারেশনাল ইস্যু বিবেচনা করতে হবে সেগুলো নিয়ে আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, দেশের সর্বদক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের কক্সবাজার জেলায় প্রায় ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নির্মূল অভিযান থেকে প্রাণ বাঁচাতে এসব উদ্বাস্তু বাংলাদেশে পালিয়ে যায়। এসব উদ্বাস্তুকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করছে বাংলাদেশ।
কিন্তু মিয়ানমার সরকার যে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চায় না ইতোমধ্যে তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। অন্যদিকে, রোহিঙ্গারাও বলছে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত এবং মিয়ানমার সরকার তাদেরকে নাগরিকত্ব না দিলে তারা ফিরে যাবে না। নাগরিকত্বের দাবি মিয়ানমার সরকার মেনে নেবে বলে মনে হয়না।
ফলে কোন সমাধান দৃষ্টিগোচর না হওয়ায় বিশ্লেষকরা আশংকা করছেন যে বাংলাদেশেও একটি ফিলিস্তিনের মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে অথবা রোহিঙ্গারা ভারতে পালিয়ে যেতে পারে। যাই ঘটুক না কেন তা এই অঞ্চলের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর সুদূর প্রসারি প্রভাব ফেলবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-