বার্তা২৪- চলতি এপ্রিলের ২৬ তারিখের মধ্যে বন্ধ হতে পারে প্রায় ২৬ লাখ মোবাইল সংযোগ। গত সপ্তাহের টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির সঙ্গে মোবাইল অপারেটরদের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান জহুরুল হক বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আগামীতে আরও একটি সভার মাধ্যমে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বৈঠক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহক একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ১৫টি সিমকার্ড নিবন্ধন করতে পারেন।
তবে বিটিআরসির অনুসন্ধানে এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটার তথ্য পাওয়া গেছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে ১৫টির অতিরিক্ত নিবন্ধিত প্রায় ২৬ লাখ সিমকার্ডের খোঁজ পেয়েছে বিটিআরসি।
এই অবৈধ মোবাইল সংযোগ বন্ধের বড় কারণ হিসেবে অপরাধ প্রবণতার বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে সংস্থাটি। সিম কার্ড ব্যবহার করে একটি চক্র নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত আছে। এটা নিয়েও বিটিআরসি আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে।
এর আগে নানা সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এমন কিছু চক্র ধরা পড়ে। যারা বিভিন্ন ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সিম উত্তোলন করে তা ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে।
তারপর থেকেই বিটিআরসির সঙ্গে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের এসব সিমকার্ড বন্ধের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আলোচনায় বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিয়ম অনুযায়ী একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ১৫টির বেশি সিমকার্ড থাকলে অতিরিক্ত সিমকার্ডগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
এপ্রিলের মধ্যেই বিটিআরসি এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চায়। এর বিপরীতে মোবাইল অপারেটররা তাদের অবস্থান তুলে ধরে জানায়, যেসব গ্রাহকের অতিরিক্ত নিবন্ধিত সিমকার্ড আছে তার অধিকাংশই ব্যবহার হয় না।
ফলে এগুলো বন্ধ করলে মোবাইল অপারেটরদের আপত্তি থাকবে না। তবে মোবাইল অপারেটররা যেসব সংযোগ থেকে রাজস্ব আয় বেশি, সেগুলো সচল রেখে কম আয়ের সংযোগ বন্ধ করাতে বেশি আগ্রহী তারা।
এ ব্যাপারে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, ‘নিয়মবহির্ভূত কোন সংযোগ আমরা রাখার পক্ষে না। যা আমাদের নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি করে আসছে। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১৫টি সিমকার্ড নিবন্ধনের সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। এর বেশি থাকলে অবশ্যই সেই সিমকার্ডগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে ভুয়া সিম কার্ডের বিষয়ে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহামুদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এখন যারা অপরাধকর্ম করছে। এমন অপরাধীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা সহজেই সিম কার্ড সংগ্রহ করে ফেলে। আর সেটা দিয়েই অপরাধে জড়ায়। আমরা বিষয়টি নিয়ে বিটিআরসিকে অনেক আগেই অবহিত করেছি।’
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-