ঈদগড় ইউপি চেয়ারম্যান ভুট্টুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক :


কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ ভুট্টুর বিরুদ্ধে পূর্বের আদেশ বহাল রেখে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
সোমবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসামীর করা রিভিশন খারিজ করে পূর্বের গ্রেপ্তারী পরোয়ানা আদেশ বহাল রেখে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঈদগড় ইউনিয়নের হাসনাকাটা এলাকায় কবির আহমদের মালিকাধীন জমিকে ‘খাস জমি’ দেখিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প করার পায়তারা চালায় ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ ভুট্টু। ওই জমি থেকে কবির আহমদের পরিবারকে উৎখাত করার জন্য ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই গভীর রাতে চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ ভুট্টুর নেতৃত্বে স্বশস্ত্র হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। সন্ত্রাসীদের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কবির আহমদের স্ত্রী লায়লা বেগম। ওই সময় নিহত লায়লা বেগম তাহাজ্জুদের নামাজরত অবস্থায় ছিলেন। পরে এঘটনায় নিহতের স্বামী কবির আহমেদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। 
মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। কিন্তু ওই অভিযোগপত্রে বাদীপক্ষ নারাজি দিলে আদালত পূণরায় তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেয়। 

পিবিআই দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল ঈদগড়ের ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ ভুট্টু ও হাসনাকাটা এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল আমিনকেও অন্তর্ভুক্ত করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে বাদী পক্ষের সম্মতির পর আদালত ফিরোজ আহমদ ভুট্টু ও নুরুল আমিনসহ আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করে।

এদিকে আসামী পক্ষ গ্রেপ্তারী পরোয়ানা আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করলে পরোয়ানা সাময়িক স্থগিত হয়ে যায়। পরে আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শুনানী শেষে ওই রিভিশন খারিজ করে দেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক। আদালত পূর্বের আদেশ বহাল রেখে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করে।

উল্লেখ্য, ঈদগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রয়াত প্রচার সম্পাদক মহিউদ্দিন হত্যা মামলাতেও কারাভোগ করেন চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ ভুট্টু। বর্তমানে ওই মামলায় জামিনে রয়েছেন তিনি। 

আরও খবর