সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল :
কক্সবাজার সর উপজেলার পেছনে পশ্চিম হাজী পাড়া এলাকায় পাহাড় কেটে ও মাটি ভরাট করে অনুমতি বিহীন অসংখ্যা বহুতল ভবণ নিমার্ণের অভিযোগ স্থানীয়দের।
তবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পক্ষে থেকে প্রতিদিনই যাঁরা অবৈধভাবে খাস জায়গায় যত্রতত্র ভবন নির্মাণ করেছে তাদেরে বিরুদ্ধে অভিযান, জরিমানা ও অনেকের ভবন ভেঙ্গে দিয়েছে বলে জানায়।
সরেজমিনে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার পেছনে ঝিলংজার পশ্চিম হাজী পাড়া এলাকায় একই স্থানে পাহাড় কেটে সরকারী জায়গায় ৬টি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি ভবনের প্রথমতলা নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। উক্ত এলাকায় সরকারী খাস খতিয়ানের জায়গার উপর পাহাড়ের ঢালুতে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন শামসুল আলম ও বেলালের নেতৃত্বে একটি বহুতল ভবণ। এছাড়াও নুর মোহাম্মদ, নুরুল আলম, আব্দুস সাকু, মনজুর আলম ও মাষ্টার শওকত বহুতল ভবণ নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায় দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা প্রকাশ্যে দিন দুপুরে পাহাড় কেটে এসব বহুতল ভবনের নিমার্ণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এর কারণে একদিকে যেমন পর্যটন নগরী হিসেবে পরিবেশ সৌন্দর্যহীন হয়ে পড়বে অন্যদিকে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পাহাড়ের নিচে বসবাস করা অনেক পরিবার।
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া বহুতল ভবন নির্মাণ কক্সবাজারের ঐতিহ্য ও পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ধরণের নজর যাচ্ছে না অভিযোগ ওই এলাকার বাসিন্দাদের। বর্তমানে এই ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাই শেষে ভবনের ওয়াল তৈরী করা হলেও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা পরিবেশ অধিপ্তরের কর্মকর্তারে কারো নজরে আসেনি।
উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সূত্রে আরও জানায়, যাঁরা পাহাড় কেটে ও মাটি ভরাট করে অনুমতি বিহীন ভবণ নিমার্ণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারে বিরুদ্ধে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অতি-শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়াও অনুমতি বিহীন বহুতল ভবণ করার কারণে অনেক ভবণের মালিককে নোটিশ য়োসহ ও বহু ভবনকে স্থগিত করা হয়েছে। তারপরেও যাঁরা নিমার্ণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তারে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা যায়।
এ ছাড়াও কক্সবাজার শহরে সরকারী পাহাড় কেটে ও মাটি ভরাট করে দক্ষিণ সাহিত্যিকা পল্লির বিভিন্ন অলিগলিতে, বাসটার্মিলের পশ্চিমে ও উত্তর পাশ্বে, উপজেলা পরিষরে আশপাশে, ঘোনার পাড়া, লারপাড়া, আলিঁর জাহাল, কলাতলীর আশপাশে, চ›্রমিায়, পাহাড়তলী, গোার পাড়া ও টেকপাড়া-সহ বহুতল ভবণের নিমার্ণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার পরিবেশ অধিপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. কামরুল হাসান জানান, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়তই অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এমনকি অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। যাঁরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া খাস জায়গায় বহুতল ভবণ নিমার্ণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-