বিশেষ প্রতিবেদক :
বৈরী আবহাওয়া কাটিয়ে আবারও স্বরূপে ফিরেছে পর্যটন শহর কক্সবাজার। সাপ্তাহিক ছুটিতে পর্যটকে ঠাঁসা সৈকতের সবকটি পয়েন্ট। সৈকতের ঢেউয়ে আনন্দ আর উল্লাসে মেতেছেন তারা। তবে এখনও সাগর উত্তাল থাকায় সমুদ্র স্নানে পর্যটকদের সর্তক থাকার পরামর্শ লাইফ গার্ড সংস্থার। আর প্রতি ছুটিতে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের সমাগম হওয়ায় দারুণ খুশি ব্যবসায়ীরা।
গত কয়েকদিন ধরে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছিল সৈকত শহর কক্সবাজারে। যার ফলে পর্যটকের সংখ্যাও কমে যায়। কিন্তু এখন আর আবহাওয়ার কোন সতর্ক সংকেত নেই।
ফলে আবারও স্বরূপে ফিরেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। সৈকতের সবকটি পয়েন্টে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়। সৈকতের ঢেউয়ে আনন্দ আর হৈ-হুল্লোড়ে মেতেছেন বিভিন্ন স্হান থেকে আসা পর্যটকরা।
আবীর, রহিম ও সায়েম বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া কক্সবাজার সৈকতে ঘুরে বেড়াতে খুবই ভাল লাগছে। সকাল থেকে সৈকতে দল বেধে গোসল করলাম। এখন দৌড়াদৌড়ি শেষে বালিয়াড়িতে বসে একটু বিশ্রাম নিচ্ছি, এরপর আবার সৈকতের নোনা জলে গোসলে নামবো।
সী-সেইভ লাইফ গার্ডের ইনচার্জ আধ্রারাম ত্রিপুরা জানান, শীত মৌসুমের শেষে স্বাভাবিকভাবে সাগর উত্তাল থাকে। তাই পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।
আর হোটেল ওনার্স এসোসিয়েশনের মুখপাত্র সাখাওয়াত হোসাইন জানান, প্রতি ছুটিতে কক্সবাজারে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটকের আগমনে দারুণ খুশি তারা। তবে সৈকত ও হোটেল মোটেল জোনে পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানান তিনি।
বৈরি আবহাওয়ার কারণে গত কয়েকদিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। এখন আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় পুনরায় চালু হয়েছে জাহাজ চলাচল।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-