রোববার অপহৃত ১৪ ট্রলারসহ ৫৭ মাঝিমাল্লার মুক্তি

কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে জলদস্যু আতংকে মাছধরা বন্ধ

আহমদ গিয়াস :

কক্সবাজার বঙ্গোপসাগরে রোববার জলদস্যুদের হাতে অপহৃত ১৪টি মাছধরা ট্রলারসহ ৫৭ মাঝিমাল্লাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর রাত পর্যন্ত সময়ে এসব ট্রলার ও মাঝিমাল্লা জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পায়। এরপর দুপুর নাগাদ তারা ঘাটে ফিরতে শুরু করে। তবে ট্রলারপ্রতি দেড় থেকে দুই লাখ টাকার মুক্তিপণ দিয়েই রোববার অপহৃত ট্রলারসহ মাঝিমাল্লাদের মুক্তি মিলেছে বলে জানায় জেলা ফিশিংবোট মালিক সমিতির নেতারা।

কক্সবাজার জেলা ফিশিংবোট মালিক সমিতি জানায়, রোববার অপহৃত কক্সবাজারের ৮টি ট্রলারকে সোমবার রাতে এবং চট্টগ্রামের ৪টি ও বরগুণার পাথরঘাটা এলাকার ২টি ট্রলার মঙ্গলবার ভোর ৩টার দিকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরমধ্যে কক্সবাজারের আবু সোলতান নাগু কোম্পানীর মালিকানাধীন এফবি ছেনুয়ারা ও এফবি ভাই ভাই নামের ২টি ফিশিং বোটের ৪ জন করে মোট ৮ জন জেলে নূনিয়াচঢ়ার মোজাম্মেল কোম্পানীর এফবি মায়ের দোয়া ৩ মাঝিমাল্লাসহ, একই এলাকার সোহেলের মালিকানাধীন বোট ৪ জন মাঝিমাল্লাসহ, নতুন বাহারছড়ার ওসমান গনি টুলুর মালিকানাধীন এফবি নিশান-১ ও ২ ফিশিং বোট দুটি ১৮ জন মাঝিমাল্লাসহ শহরের এন্ডারসন রোডের কাইয়ূম সওদাগরের মালিকানাধীন এফবি রিফাত ও এফবি রফিকুল হাসান নামের ২টি ফিশিং বোট ৩ জন করে মোট ৬ জন মাঝিমাল্লাসহ মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ শহরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সংলগ্ন কস্তুরাঘাটে ফিরে এসেছে বলে নিশ্চিত করেন জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার মোস্তাক আহমদ।

তিনি জানান,জলদস্যুদের দেড় থেকে দুই লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দিয়ে ট্রলারসহ মাঝিমাল্লারা ছাড়া পায়। ট্রলার মালিকরা বিকাশের মাধ্যমে জলদস্যুদের কাছে মুক্তিপণের টাকা পরিশোধ করে। জলে ও স্থলে জলদস্যুদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

তিনি আরো জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাগরে মাছধরা বন্ধ করে সকল ট্রলার কূলে ফিরে এসেছে।

আরও খবর