ওমর ফারুক হিরু :
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে একই ওয়ার্ডে ভিতরে চলছে চিকিৎসা এবং সংস্কারের কাজ। কাটার মেশিনের বিকট শব্দ আর হাতুড়ির টুং টাং শব্দের যন্ত্রণায় বিরক্ত রোগী ও রোগীর অভিভাবক।
ভূক্তভোগীরা বলছেন, রোগীর সেবা নিশ্চিত করতে যেখানে হাসপাতালের বাহিরে গাড়ির হর্ন বাজানো পর্যন্ত নিষেধ আর এখানে ওয়ার্ডের ভিতরেই রোগীর কানের পাশেই কাটার মেশিনের বিকট শব্দ আর হাতুড়ির টুং টাং শব্দের মধ্য দিয়ে চলছে সংস্কারের কাজ। এই অব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাকেই দায়ী করছে ভূক্তভোগী রোগী ও অভিভাবক।
এই দৃশ্য দেখা যায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তৃতীয় তলার শিশু ওয়ার্ডে। ওয়ার্ডের একপাশে শিশুদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর অন্যপাশে ৪-৫ জন মিস্ত্রি টুং টাং শব্দের মাধ্য দিয়ে সংষ্কারের কাজ চালাচ্ছে। এসব মিস্ত্রির মধ্যে কয়েকজন হাতুড়ি দিয়ে দেয়ালের প্লাষ্টার উঠাচ্ছে। আর কয়েকজন কাটার মেশিন দিয়ে ধাতব কাটছে। এতে শুধু বিকট শব্দই হচ্ছে না পাশাপাশি উড়ছে ইট-কংক্রিটের ধুলা।
অবস্থার বিষয়ে নুপুর নামে এক রোগীর অভিভাবক জানান, মানুষ হাসপাতালে আসে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ্য জীবন পেতে। কিন্তু এই ওয়ার্ডে রোগী’ত দূরের কথা সুস্থ্য মানুষ আসলেও অসুস্থ্য হয়ে পড়বে শব্দ দূর্ষনের করণে। এটি কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ছাড়া কিছুই নয়।
ফাতেমা নামে এক শিশু রোগী জানান, তার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা আর বুক ব্যাথার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু এখানে এসে এই মাথা ব্যাথা আরো বেড়ে গেছে বিরক্তিকর শব্দ দূষণের কারণে।
কক্সবাজার সদর হাসপালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার সুলতান আহম্মদ সিরাজী জানান, ‘কাজ যখন চলছে ডিষ্টাব’ত একটু হবেই। নাই মামা চেয়ে কানা মামাই’ত ভাল। তাই আমাদের নির্দেশনায় সংস্কারের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এই অব্যবস্থাপনার ব্যাপারে সচেতন মহল বলছেন সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার সদর হাসপাতাল দিন দিন উন্নত হচ্ছে। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও সেই অনুযায়ী রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-