গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল
টেকনাফ সরকারী ডিগ্রী কলেজে তালা লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। উক্ত ঘটনায় প্রায় এক ঘন্টা অবরুদ্ধ ছিল অত্র কলেজের ভিতরে থাকা বেশ কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।
সরেজমিনে গিয়ে তথ্য নিয়ে জানা যায়,সেকেন্ড ইয়ার টেস্ট পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করেছিল ২৭২ জন শিক্ষার্থী।
এর মধ্যে ফেল করেছে ৪৮ জন শিক্ষার্থী।
এব্যপারে পরিক্ষায় অকৃতকার্য্য হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিযোগ,২৭২ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে ১৭৬ পরিক্ষার্থী অকৃকার্য্য হয়েছিল। এর মধ্যে বাকি ৯৬ জন ফেল করা শিক্ষার্থী কিভাবে অনুমোদন পেল? তাদের দাবী অকৃতকার্য্য ৯৬ যদি ফাইনাল পরিক্ষায় অংশ নিতে অনুমোদন পায়। তাহলে বাকি ৪৮ জন শিক্ষার্থী কি অপরাধ করেছিল।
অবশেষে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে,২৩ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০টার দিকে টেস্ট পরিক্ষায় অকৃতকার্য্য বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী কলেজে বিভিন্ন প্রবেশ পথে তালা লাগিয়ে দেয়।
এতে কলেজের ভিতর থাকা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা প্রায় এক ঘন্টা অবরুদ্ধ ছিল।
এরপর অত্র কলেজের দায়িত্বরত সভাপতি টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল হাসান ও টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের নির্দেশনায় এসআই জামশেদ নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে এবং প্রবেশ পথের তালা খুলে দেয়।
এদিকে অত্র কলেজের শিক্ষক-শিক্ষীকারা অকৃতকার্য্য হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বুত্তিহীন বলে মনে করেন।
তাদের দাবী সরকারী নিতীমালা অনুযায়ী টেস্ট পরিক্ষায় যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা ৩/৪ সাবজেক্টে ফেল করেছে। তারা সরকারী নিতীমালা অনুযায়ী ফাইনাল পরিক্ষায় অংশ নিতে পারবেনা। পাশাপাশি ফরম ফিলাপ করার নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গেছে!
এসআই জামশেদ শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয় পক্ষের অভিযোগ আমলে এনে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
এই সময় তিনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উর্দ্দেশ্যে বলেন আগামীতে যে কোন অভিযোগ লিখিত ভাবে অবিহিত করবে। শিক্ষা প্রতিষ্টানের ভিতর কোন ধরেন আন্দোলন না করার পরামর্শ দেন। এই নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
কিন্তু ঘটনার শুরু থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রায় ২ ঘন্টা যাবত অত্র কলেজের দায়িত্বরত প্রধান কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক শেখ জয়নাল আবেদিন কলেজে অনুপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-