বিনোদন ফিচার- নিরাপদ ইন্টারনেট ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে চলমান অভিযানে এ দফায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ফেসবুক ও ইউটিউবে অশ্লীলতার শীর্ষে থাকা আরও দুই তথাকথিত মডেল রেশমী অ্যালোন ও টুনটুনি আদ্রিতা । এছাড়াও ইউটিউব চ্যানেল খুলে ও ফেসবুকে অশ্লীল ভিডিও ছড়ানো আলোচিত ‘ভাদাইমা’কেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মুখোমুখি করতে চেষ্টা চলছে এদফায়।
এছাড়াও যাচাই বাছাই করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অশ্লীলতা ও কুরুচিপুর্ন ভিডিও কন্টেন্ট ছড়ানোদের একটি তালিকা প্রস্তুতিরও কাজ চলছে। প্রাথমিক তালিকায় রয়েছেন আরও প্রায় ডজন খানেক অশ্লীল ও বিতর্কিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ।
নিরাপদ ইন্টারনেট ক্যাম্পেইনে শুধু ফেসবুক বা ইউটিউবেই নয়, ইন্টারনেটের বিস্তৃত দুনিয়ায় টিকটক ও বিগো লাইভে অশ্লীলতা ও প্রশ্নবিদ্ধ কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদেরদের জন্যও রয়েছে ‘সতর্কতা’ ।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নেতৃত্ব শুরু হওয়া নিরাপদ ইন্টারনেট কাম্পেইন অভিযানে মন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের সব সাইবার ইউনিট, র্যাব, বিটিআরসি, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের এ-টু-আই।
প্রাথমিকভাবে এই ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে সাইবার দুনিয়ায় পরিচিত ও সমালোচিতদের তালিকা তৈরি করে তাদের একে একে এনে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। ইতমধ্যে নিজের ভুল স্বীকার করে ‘মুচলেকার’ মাধ্যমে বিতর্কিত এসব কন্টেন্ট সরিয়ে নিয়েছেন দুজন।
গত রোববার মডেল সানাই মাহবুব সুপ্রভা ও মঙ্গলবার সালমান মুক্তাদিরকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ ও কাউন্সিলিং করা হয়।
এ বিষয়ে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি ও ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, ‘যারাই ইন্টারনেটকে কলুষিত করবে তাদেরকেই আইনের আওতায় আনা হবে। রেশমী অ্যালোন, ভাদাইমা, টুনটুনি আদ্রিতাসহ অনেকেই এ তালিকায় রয়েছে।’
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকাদের অনেকেই টিকটক ও বিগো লাইভ অ্যাপ ব্যবহার করেন। তারকাসহ সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, যারা এসব অ্যাপ ব্যবহার করেন, তাদের অনুরোধ করছি, আপনারা যদি এসব ব্যবহার বন্ধ করেন, তাহলে সাধারণ মানুষ এমনিতে সরে যাবে। এসব অ্যাপ তরুণদের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর।’
নাজমুল ইসলাম বলেন, মডেল ও অভিনেত্রী সানাই এবং ইউটিউবার সালমান মুক্তাদির পর তালিকায় আছেন রেশমী অ্যালান, ভাদাইমা, টুনটুনি আদ্রিতাসহ অনেকেই। রেশমি এলোন ফেসবুক লাইভ, বিগো লাইভ ও ইউটিউবে খুবই খোলামেলা ও অপেশাদার কথা বলেন। এছাড়া ভাদাইমার নামে ইউটিউবে অনেক অশ্লীল ভিডিও ও শর্টফিল্ম রয়েছে।
বিভিন্ন সময় ইন্টারনেটে অপেশাদার এবং অপ্রাসঙ্গিক ভিডিও ছড়িয়ে সমালোচনায় ছিলেন সানাই। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির নেশায় নিয়ম করেই নিজের শরীরের সস্তা অঙ্গভঙ্গি প্রকাশের নেশায় এতদিন যে বুদ হয়ে ছিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সামাজিক মাধ্যমে, বেশিরভাগ মানুষই এসব বিতর্কিত মডেলদের এমন অশ্লীলতায় বিরক্ত ছিলেন অনেক বেশি। তাদের সস্তা আবেদনময়ী ভিডিওগুলোতেও হাজারো মানুষের প্রতিবাদ ছিলো কড়া সমালোচনায়। কিন্তু এতদিন এসবের তোয়াক্কা করেননি তাদের কেওই । বরং অশ্লীলতা আর বিকৃতির প্রকাশ করে চলেছেন আরও বেশি উৎসাহে!
ধারাবাহিকভাবে এসব বিতর্কিতদের ‘আটক’ ও জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় ইতমধ্যে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেকেই । এমন অশ্লীলতা দমনে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের প্রত্যক্ষ্য নির্দেশনা ও ‘সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমন বিভাগকেও সাধুবাদ জানাচ্ছেন সচেতন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-