আত্মসমর্পণকারীদের অর্থ-সম্পদের হিসাব ফাইল প্রস্তুত

দেশে প্রথমবারের মত কক্সবাজারের টেকনাফে ১০২ ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করেছেন। আত্মসমর্পণের পর তাদেরকে বর্তমানে কক্সবাজার কারাগারে রাখা হয়েছে। এবার তাদের অর্থ-সম্পদের ফাইল তৈরির কাজ শেষ করেছে পুলিশ। কারবারিদের বৈধ অবৈধ সম্পদ যাচাই বাছাই করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে পাঠানোরও প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ।

আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ার শুরু থেকে বলা হয়েছে, এই ইয়াবা কারবারিদের অবৈধ অর্থ-সম্পদের হিসাব নেবে সরকার। প্রয়োজনে বাজেয়াপ্ত করা হবে। সেই ধারাবাহিকতায় এই অর্থ-সম্পদের  হিসাবের ফাইল প্রস্তুত করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ।

পুলিশ সূত্র বলছে, প্রস্তুতকৃত ফাইল আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছে যাবে।

জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের পর, তাদের অর্থ-সম্পদের হিসাবের ফাইল প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা সেগুলো যাছাই বাছাই করতে সরকারকে অনুরোধ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘অবৈধ সম্পদ চিহ্নিত ও জব্দ করা সংশ্লিষ্ট সরকারের একাধিক সংস্থার সঙ্গে এই বিষয়ে দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে। যেকোনো প্রক্রিয়ায় ইয়াবা কারবারিদের অবৈধ সম্পদের হিসাব করা যায়। সে বিষয়ে কাজ করছি। প্রয়োজনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।’

সংশ্লিষ্ট পুলিশের অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, ইয়াবা কারবারিদের অবৈধ সম্পদের ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। এনবিআর তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব দেখে কার কত অবৈধ সম্পদ আছে তার একটি তালিকা তৈরি করেছে। সেটি নিয়ে কাজ চলছে।

জানা যায়, যারা গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত, ইয়াবার কারবার করে কাড়ি কাড়ি সম্পদ বানিয়েছেন, তাদের সম্পদের বৈধতা নিয়ে আলাদা করে ভাবছে প্রশাসন।

এদিকে কারা সূত্রে জানা যায়, আত্মসমর্পণকারীদের কারাগারে নিয়মিত দেখতে যাচ্ছেন স্বজনরা। আত্মসমর্পণের সমন্বয়কারী ও পুলিশ থেকে জানা যায়, তাদের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নানা রকম তদবির করা হচ্ছে।

তবে পুলিশ বলছে, এ কারবারিদের সব মামলার দায়িত্ব নেবে না প্রশাসন। সদ্য হওয়া অস্ত্র ও মাদক মামলার বাহিরের মামলা নিয়ে মাথা ঘামাবে না তারা। কিন্তু পূর্বের দেওয়া কথা অনুযায়ী এই দুই মামলায় সরকারি আইনি সহায়তা পাবেন তারা।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সাড়ে তিন লাখ পিস ইয়াবা, ৩০টি দেশীয় এল.জি আর ৭০টি তাজা কার্তুজ নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেন। ঐ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল কাছে তারা আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারি।

/বার্তা২৪.কম

আরও খবর