শাহরিয়ার হাসান, বার্তা ২৪
সাড়ে তিন লাখ পিস ইয়াবা, ৩০টি দেশীয় এল.জি আর ৭০টি তাজা কার্তুজ নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে ১০২ ইয়াবা কারবারি স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন। কিন্তু আত্মসমর্পণের পর নিয়মানুযায়ী তাদের নামে মামলা করতে গিয়ে বিপাকে পড়ে পুলিশ। কেউ স্বেচ্ছায় ১ নম্বর আসামি হতে চান না।
আলাদতের কাজ শেষ করে এখন আত্মসমর্পণকারীদেরকে কারাগারে রাখা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও ইয়াবা মিলে মোট দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আত্মসমর্পণের পর তাদের নামে একটি ইয়াবা মামলা ও অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়। এদিকে সমান অপরাধে অপরাধী হওয়ায় মামলার এজাহারে নাম লিখতে গিয়ে বিপাকে পড়ে পুলিশ। আত্মসমর্পণকারীরা কেউই তার নাম প্রথম ১০ জনের তালিকায় রাখতে চাননি।
পুলিশ জানায়, স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করা এই ইয়াবা কারবারিরা বলছেন, প্রথমে দিকে থাকলে তাদের জামিন পেতে ঝামেলা হবে। তাই এজাহারে নাম লেখার সময়, পুলিশের কাছে আসছে নানা তদবির।
পুলিশ বলছে, এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে ১ নং থেকে শুরু করে ১০২ নং পর্যন্ত আসামিদেরকে সমানভাবে দেখবে আদালত। তাই নিয়ম রক্ষা করতে ক্রম অনুসারে তালিকা হচ্ছে। কিন্তু সেটা কোনোভাবেই মানতে নারাজ স্বেচ্ছায় আত্মসর্মপণকারীরা।
মামলার এজাহার তৈরি করতে এই যখন অবস্থা। তখন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শেষ পর্যন্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা তালিকা ও জেলা গোয়েন্দা সংস্থার তালিকার ক্রমানুসারে এজাহারে নাম বসানো হয়েছে আত্মসমর্পণ ইয়াবা কারবারিদের।
জানা যায়, এজাহার চূড়ান্ত হবার পর প্রথম আসামি হয়েছেন ২০ মাদক মামলার আসামি আবদুর রহমান বদির ছোট ভাই আব্দুস শুক্কুর। আর ১০২ নম্বর আসামি হন কক্সবাজার জেলার ঝিলংজার গ্রামের শাহজাহান আনছারী।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-