ডেস্ক রিপোর্ট – টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় মনিরুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদরের বংশাই রোডের শ্বশুরবাড়ি থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে।
আইভির পরিবার সূত্রে জানা যায়, মির্জাপুর সদরের বংশাই রোডের বাড়িতে আইভি তার স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। মনিরুলের বাড়ি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামে। নিজের চাকরি না থাকায় ও স্ত্রীর চাকরির সুবাদে শ্বশুরবাড়ি থাকতেন তিনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করে বেশ কয়েকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন মনিরুল। সর্বশেষ প্রিলিতে অংশগ্রহণ করারও কথা ছিল তার। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় সেই পরীক্ষা দিতে পারেননি তিনি।
আইভির পরিবারের সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ মনিরুল নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। এ সময় মনিরুলের স্ত্রী ও শাশুড়ি তা দেখে ফেলেন। পরে তারা দরজায় অনেক্ষণ ধাক্কাধাক্কি করলেও মনিরুল দরজা খোলেননি।
পরে তারা চিৎকার শুরু করলে বাড়ির নিচ থেকে কয়েকজন উপরে উঠে আসেন। এরপর তারা দরজা ভেঙে মনিরুলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তারা। পরে মির্জাপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুল হক জানান, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, হতাশার কারণে মনিরুল আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসার পর বাকি তথ্য জানা যাবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মনিরুলের স্ত্রী আইভি আক্তার টাঙ্গাইলের সরকারি সাদত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। আর মনিরুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই দম্পতির মুসা নামের পাঁচ বছরের ছেলে ও আরিশা নামের ছয়মাস বয়সী এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-