বিশেষ প্রতিবেদক :
কক্সবাজার সদরের বাংলাবাজার সংলগ্ন ছমুদা ব্রিজ এলাকায় ১৩ হাজার ৭৬৭ পিস ইয়াবাসহ মা-ছেলেকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় তাদের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে ছমুদা ব্রিজের পশ্চিম পাশে সড়কের ওপর বিশেষ চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালিয়ে দু’জনকে আটক করে র্যাব। এরা হলেন- কিশোরগঞ্জের ভৈরব উত্তর আটি গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী মোছাম্মত নাছিমা (৬০) ও তার ছেলে মো. রতন মিয়া (৩৮)।
র্যাব-৭ এর কক্সবাজার অফিসের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান জানান, কতিপয় মাদক কারবারী একটি প্রাইভেটকারে করে টেকনাফ থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রামে যাচ্ছে, এমন খবরে বুধবার দুপুরের দিকে বাংলাবাজার এলাকার ছমুদা ব্রিজের পশ্চিম পাশে সড়কের ওপর বিশেষ চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে র্যাব। এ সময় টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামগামী একটি প্রাইভেটকারের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা গাড়িটিকে থামানোর সংকেত দেন। তখনই গাড়িটিকে রাস্তার পাশে থামিয়ে দু’জন দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। র্যাব সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে ছেলে রতন মিয়া ও তার মা নাছিমাকে আটক করে এবং তাদের বহনকারী কারের ভেতরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১৩ হাজার ৭৬৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। এসময় পাচারকাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটিও (ঢাকা মেট্রো-গ-১৩-৫৬৬০) জব্দ করা হয়।
উদ্ধার হওয়া ইয়াবা ট্যাবলেটের আনুমানিক মূল্য ৬৮ লাখ ৮৩ হাজার ৫০০ টাকা এবং জব্দকৃত প্রাইভেটকারের আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ টাকা বলে তিনি জানিয়েছেন।
মেজর মেহেদী হাসান জানান, দু’জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত। এরা টেকনাফের বিভিন্ন মাদক কারবারীর সঙ্গে যোগসাজশে সেখান থেকে ইয়াবা কিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করেন।
দু’জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান মেজর মেহেদী হাসান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-