তোফায়েল আহমদ ও এস এম রানা, কক্সবাজার :
কক্সবাজার থেকে সমুদ্রপথে মানবপাচারের সেই পুরনো ‘বন্দর’ পুনরায় সচল হয়ে উঠেছে। গত ডিসেম্বর থেকে সচল হওয়া এ পথে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া পৌঁছেছে অনেকেই।
মালয়েশিয়ায় পাচারের পথে অজ্ঞাত স্থানে রেখে পাচারের শিকার ব্যক্তিদের ‘জবাই করা হচ্ছে’ এমন ভিডিও দৃশ্য দেখিয়ে বাংলাদেশে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে দালালরা। মানবপাচারের এ যাত্রায় সবচেয়ে বেশি পাচার হচ্ছে রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গা যুবকদের একটি বড় অংশই পাচারের শিকার হচ্ছে। গত নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত পুলিশ ও বিজিবি ৫৮ জনকে উদ্ধার করেছে, যাদের বেশির ভাগই রোহিঙ্গা। আটক করা হয়েছে সাত দালালকে।
গতকাল রবিবার রামু ও উখিয়ায় ঘুরে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া গেছেন এমন যুবক শাহাবুদ্দিনের বাবা এবং পাচারের পথ থেকে ফিরে আসার সুযোগ পাওয়া দুই স্কুল শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে সুনির্দিষ্ট তথ্য। কিন্তু রামু থানার পুলিশ ১৩ জানুয়ারি পাচারের অভিযোগ পাওয়ার পরও গতকাল পর্যন্ত রহস্যজনক কারণে মামলা রেকর্ড করেনি। কালের কণ্ঠ পাচারের বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে জানার পর রামু থানার পুলিশ সক্রিয় হয়। আর উখিয়া থানার পুলিশ এক পাচারকারীকে আটক করে।
২০১৩ সালের পর থেকে কক্সবাজারের রেজুখাল ব্রিজ এলাকা দিয়ে মানবপাচার হয়েছিল। ওই সময় পর্যটকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ পাচারের শিকার হয়। এমনকি বস্তার ভেতর ঢুকিয়েও পাচারের ঘটনা ঘটেছিল। এ কারণে রেজুখালকে মানবপাচারের ‘এয়ারপোর্ট’ আখ্যায়িত করে স্থানীয়রা। এখন আবার জোরেশোরে শুরু হয়েছে মানবপাচার। বাংলাদেশিরা পাচার হচ্ছে পুরনো পথ রেজুখাল দিয়েই। ওই খালের গুরিয়ার দ্বীপ ঘাট দিয়ে এই কাজ চলছে। আর সর্বাধিক রোহিঙ্গা পাচার হচ্ছে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের কাঁটাবুনিয়া ও পশ্চিম এলাকা দিয়ে।
কক্সবাজারের রামু, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী। এর মধ্যে উখিয়া এবং টেকনাফের ৩০টি ক্যাম্পে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অস্থায়ীভাবে বাস করছে। এসব শিবির থেকে এরই মধ্যে প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে যাওয়ার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। এদের একটি বড় অংশই সাগরপথে মালয়েশিয়া পাড়ি জমিয়েছে। বাকিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গাদের পাচারে রোহিঙ্গা দালালদের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হেফজ রহমান, সাদ্দাম হোসেন ও মুজিব উল্লাহ।
২০১৩ সালে ধারাবাহিকভাবে মানবপাচার শুরু হলে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়। মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগও এনেছিল। এ ছাড়া থাইল্যান্ডের গহিন পাহাড়ে বাংলাদেশিদের গণকবর শনাক্ত হওয়ার ঘটনায় বিশ্ব গণমাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল। এমন নাজুক পরিস্থিতিতে ২০১৫ সালে সরকার মানবপাচার রোধকল্পে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি প্রতিবেদন দেওয়ার পরও সেইসব সুপারিশ এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। এর তিন বছর পর নতুন কায়দায় পুনরায় শুরু হয়েছে মানবপাচার। এতে নিয়োজিত সেই পুরনো দালালরাই।
রামুর খুনিয়াপালং ছনখোলা এলাকার বাসিন্দা দানু মিয়া গতকাল কালের কণ্ঠ’র কাছে তাঁর ছেলের পাচার হওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে শাহাবুদ্দিন (২২) ডিসেম্বর মাসে হঠাৎ বাড়ি থেকে চলে যায়। পরে লোকমুখে শুনি তাকে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া পাচার করা হয়েছে। তার সঙ্গে রুবেল ও তারেক নামে দুজন। প্রায় এক মাস পর সংসদ নির্বাচনের আগে মালয়েশিয়া থেকে একটি ফোন পাই। ওই প্রান্তের ব্যক্তি নিজেকে উখিয়া থানার সিকদারপাড়ার মৌলভী হোসেন পরিচয় দিয়ে জানান, শাহাবুদ্দিনরা মালয়েশিয়ায় জিম্মি হয়ে আছে। তাদের মুক্তির জন্য জনপ্রতি এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি। ছেলের মুক্তির আশায় আমরা বাংলাদেশে অবস্থানরত মৌলভী হোসেনের বোন হামিদার হাতে পাঁচ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিই। ’
দানু মিয়া আরো বলেন, ‘গত ২৭ ডিসেম্বরে টাকা দেওয়ার পরও তাদের ছাড়া হয়নি। এরপর মালয়েশিয়া থেকে আরেক ব্যক্তি ফোন করে জানায়, আমাদের দেওয়া টাকা তারা পায়নি। এই সময় ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখানো হয়, শাহাবুদ্দিনসহ তিনজনকে মাটিতে শুইয়ে রাখা হয়েছে। গলায় ধারালো ছুরি রেখে জবাই করা হবে—এমন দৃশ্য দেখিয়ে তারা আবারও এক লাখ ৮০ হাজার টাকা করে দাবি করে। কিন্তু আমার হাতে তখন আর টাকা ছিল না। ওদিকে শাহাবুদ্দিন বেঁচে থাকার আকুতি জানিয়ে কান্না করছিল। ’
অসহায় পিতা এরপর বলেন, ‘সন্তানের এমন মৃত্যুদশা আমার সহ্য হয়নি। এই কারণে আবারও এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দাদনে নিয়ে টেকনাফের এক দালালকে দিই। এরপর শাহাবুদ্দিন মুক্তি পায়। এখন সে কুয়ালালামপুর এলাকার কাছাকাছি আছে। ’ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সন্তানের জীবন রক্ষার্থে টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি। থানায় মামলা করিনি। প্রথম দফায় যে টাকা দিয়েছি, সেগুলো ফেরত পাইনি। হামিদা ও মৌলভী হোসেনের মোবাইল ফোনও বন্ধ। ’ দানু মিয়া জানান, শাহাবুদ্দিনদের সঙ্গে ৮০ জনকে একসঙ্গে পাচার করা হয়েছে। সেখানে অনেক রোহিঙ্গাও ছিল।
গোয়ালিয়া পালং এসইএসডিপি মডেল হাইস্কুলে গিয়ে পাওয়া গেল নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাসেল ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ হানিফকে। তারা দুজনই পাচারের শিকার হয়েছিল। পাঁচ দিন বঙ্গোপসাগরে নৌকায় ভাসমান থাকার পরও পাচারকারীরা তাদের মালয়েশিয়াগামী জাহাজে তুলে দিতে পারেনি।
রামু ও উখিয়ার লোকজন জানিয়েছে, এখন প্রায়ই মালয়েশিয়া লোক পাচার হচ্ছে। বেশির ভাগ রোহিঙ্গা পাচার হওয়ার কারণে প্রশাসন সেটা নিয়ে খুব বেশি মাথাব্যথা করছে না। কিন্তু রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশি শিশুসহ যুবকদের পাচার করা হচ্ছে—এমন তথ্য পাওয়ার পর পুলিশ অনুসন্ধান শুরু করেছে।
গতকাল রবিবার ভোরে উখিয়া থানা পুলিশ মরিচ্যাপালং মধুঘোনার ছৈয়দ উল্লাহকে আটক করেছে। উখিয়া থানার ওসি মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘আটককৃত ছৈয়দ উল্লাহ ও তাঁর বাবা ফরিদুল আলম ওরফে গুরা মনু কুখ্যাত মানবপাচারকারী। অন্য পাচারকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। ’ অন্যদিকে রামু থানার ওসি আবুল মনছুর বলেন, ‘মানবপাচারের সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাইনি। ’
জানা গেছে, স্কুলছাত্র রাসেল ও হানিফের পাচারের ব্যাপারে রামু থানার ওসি বরাবরে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল গত ১৩ জানুয়ারি। সেখানে পাচারকারী দালালদের নাম-পরিচয়ও আছে। হানিফের চাচা কামাল উদ্দিন এই অভিযোগ করেছিলেন। অভিযোগটি রামু থানা পুলিশ আমলে না নিয়ে সাত দিন ধরে কার্যত ফেলে রাখে। কালের কণ্ঠ’র প্রতিবেদকরা ওই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পর পুলিশ সক্রিয় হয়। গতকাল বিকেলে রামু থানাধীন হিমছড়ি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার ইনচার্জ আবুল কালাম পাচারের বিষয়ে সাত দিন আগে দাখিল করা অভিযোগটির বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। পাচারের শিকার দুই শিশু রাসেল ও হানিফ পাঁচ দিন বঙ্গোপসাগরে ভাসমান অবস্থায় ছিল। পরে তারা ফেরত আসার সুযোগ পেয়েছে। আরো কয়েকজন পাচার হয়েছে মর্মে তথ্য পাওয়া গেলেও তাদের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘পাচারের শিকার শিশুরা রামুর বাসিন্দা। কিন্তু ঘটনাস্থল উখিয়া থানায়। এই কারণে মামলা হবে উখিয়া থানায়। ’
একই বিষয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘মানবপাচার ফের শুরু হয়েছে মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। রবিবার একজন আটক হয়েছে। মামলাও হবে। ’ তিনি বলেন, ‘চলমান ইয়াবাবিরোধী অভিযানের মধ্যেই গত সপ্তাহে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আবদুর রশিদ ও কামরুল নামের দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তারা ইয়াবা পাচারকারী আবার তালিকাভুক্ত মানবপাচারকারীও ছিল। ’
জানা গেছে, পাচার হওয়া ব্যক্তিদের প্রথমে থাইল্যান্ডের নির্জন পাহাড়ে রাখা হয়। সেখানে টর্চার সেলে নির্যাতন করে টাকা আদায় করা হয়। এখন জনপ্রতি এক লাখ ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। শাহপরীর দ্বীপ এলাকার মো. আলম, শামিন, ফরিদ আলম, আবু তাহের, দলু হোসেন, ইসলাম ও শুক্কুরের ট্রলার মানবপাচারের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১৩ সালে মানবপাচার শুরু হওয়ার পর ২০১৫ সালে সরকারের গঠন করা একটি তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) বনজ কুমার মজুমদার। এখন তিনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ডিআইজি পদে কর্মরত। ওই কমিটি পাচার বিষয়ে বিস্তাারিত অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিয়েছিল।
২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মানবপাচার নিয়ে কক্সবাজারে ৩০৬টি মামলা হয়েছিল। এসব মামলার এক হাজার ৫৩১ জন আসামির মধ্যে ৪৭৭ জন গ্রেপ্তারও হয়েছিল। তাদের অনেকেই আদালত থেকে জামিন নিয়ে এখন আবারও পাচারের সঙ্গে জড়িয়েছে। ওই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার ১১ জন শীর্ষ পাচারকারী মানবপাচার নিয়ন্ত্রণ করত। এর সঙ্গে জড়িত ছিল ২৬ জন হুন্ডি ব্যবসায়ীও। ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কিছু মানুষ সরল বিশ্বাসে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্নে মালয়েশিয়া যেতে চায়। এসব মানুষকে লক্ষ্য করে মালয়েশিয়াপ্রবাসী কিছু লোক দেশের প্রভাবশালী লোকদের ছত্রচ্ছায়ায় প্রতারণামূলকচক্র তৈরি করেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রোহিঙ্গারাও। অর্থ বিনিয়োগকারী ও লোক সংগ্রহকারী এই দুটি স্তরে অন্তত ২৩০ জন জড়িত। এ দুই স্তরের দালালরাই মূলত লোক সংগ্রহ করে। পাচারকারীরা ১০-২০ হাজার টাকা নিয়ে পার্সপোর্ট-ভিসা ছাড়া শত শত মানুষকে পাচার করে দিচ্ছে। এ ছাড়া অনেকে ক্ষেত্রে অপহরণের মাধ্যমেও পাচার করে থাকে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোক সংগ্রহ করে উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত ট্রলারে তুলে দেয় তারা। সেখান থেকে গভীর সমুদ্রে নিয়ে পাচারে ব্যবহৃত মূল ট্রলারে তুলে দেওয়া হয়। মূল ট্রলার অবস্থান করে সেন্ট মার্টিনসের অদূরে মিয়ানমারের আকিয়াব এলাকায়।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছিল, পাচারের শিকার ব্যক্তিরা বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডের জলসীমায় পৌঁছার পর অন্য একদল পাচারকারী তাদের মালয়েশিয়া পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়। মূল নির্যাতন শুরু হয় সেখান থেকেই। পাচারকারীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাচারকৃত ব্যক্তির স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা চায়। যার স্বজন পাচারকারীদের নির্দেশনা ও চাহিদামতো টাকা দিতে পারে, শুধু তিনিই মালয়েশিয়া পৌঁছাতে পারেন। বাকিদের ফেলে দেওয়া হয় থাইল্যান্ডের র্যাংডং উপকূলীয় এলাকার সমুদ্রে। টাকা লেনদেন হয় থাইল্যান্ড-মিয়ানমারের মধ্যবর্তী কতাংমিউ নামক স্থানে। ট্রলারে খাবার পানির সংকট থাকে তীব্র। সেখানে যৌন হয়রানির ঘটনাও ঘটে। এতে অসম্মতি জানালে সমুদ্রে ফেলে হত্যার ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, মিয়ানমারের নাগরিকদের মালিকানাধীন ট্রলারে করেই বেশি পাচারের ঘটনা ঘটে। মিয়ানমার থেকে পণ্য নিয়ে টেকনাফ বন্দরে আসা জাহাজ খালি হয়ে ফিরতি পথে মানবপাচার করে। এ ছাড়া অর্থ লেনদেনের পুরো প্রক্রিয়াটি চলে হুন্ডির মাধ্যমে।
মানবপাচার রোধে কমিটি আটটি সুপারিশও করেছিল। এর মধ্যে ছিল পাচাররোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও অ্যাটর্নি জেনারেলের প্রতিনিধির সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন; একই সঙ্গে জেলা ও মহানগর পর্যায় এবং উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন; মানবপাচার আইনে দায়ের করা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্ত করে বিচার করা, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় পুলিশের তদন্তকেন্দ্র স্থাপন করা। টেকনাফের সঙ্গে মিয়ানমারের ৬০ কিলোমিটার এবং উখিয়ার সঙ্গে ২০ কিলোমিটার নৌপথ আছে। সেখান দিয়ে পাচাররোধে নৌ পুলিশের ইউনিট মোতায়েন করারও পরামর্শ ছিল প্রতিবেদনে। কিন্তু এই আটটি সুপারিশ এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। এই কারণে ফের পাচার শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কালেরকন্ঠ
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-