বিশেষ প্রতিবেদক :
কক্সবাজারে র্যাব-১৫ নামে একটি পৃথক ব্যাটালিয়ন স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর ফলে কক্সবাজার জেলা একটি স্বতন্ত্র ব্যাটালিয়ন স্থাপন হচ্ছে। এর আওতায় থাকবে কক্সবাজারের ৮ উপজেলা ও পার্বত্য বান্দরবান জেলা সহ অরও কিছু উপজেলা।
জানা যায়,বাংলাদেশে ইয়াবার ভয়াবহ ছোবল থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে গত বছরের মে মাসে র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। কিন্তু গত নভেম্বরে এখান থেকে র্যাবের ৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এছাড়া ইয়াবা ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের শনাক্ত করতে ডগ স্কোয়াডও প্রত্যাহার করে র্যাব।
আর বাংলাদেশে ইয়াবার প্রবেশদ্বার বলে পরিচিত কক্সবাজার ও টেকনাফের প্রায় ৬০ কিলোমিটার জলসীমা রয়েছে। এ কারণে সীমান্তে ইয়াবা প্রতিরোধ করতে র্যাব টেকনাফের শাপলাপুর, বটতলী, সাবরাং, হোয়াইকং ও শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় ৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেে।এর পর থেকে টেকনাফে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে র্যাবের হাতে ধরা পড়ে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা।
কিন্তু গত নভেম্বরে এখান থেকে র্যাবের ৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এছাড়া ইয়াবা ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের শনাক্ত করতে ডগ স্কোয়াডও প্রত্যাহার করে র্যাব। ফলে গত দুই মাসে এই এলাকার পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দিতে সহায়তাকারী র্যাবের সোর্সরাও এখন আতঙ্কে রয়েছেন। অনেক সোর্স টেকনাফ ছেড়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকায় আত্মগোপন করেছেন।
এ অবস্থায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কক্সবাজারে র্যাব-১৫ নামে একটি পৃথক ব্যাটালিয়ন স্থাপন করা হবে।
এদিকে কক্সবাজারের সচেতন মহল কক্সবাজারে র্যাব-১৫ নামে একটি পৃথক ব্যাটালিয়ন স্থাপন করার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে। এরফলে কক্সবাজার ও এর সীমান্ত এলাকায় ইয়াবা করাল গ্রাস থেকে দেশ ও যুবসমাজ রক্ষা পাবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-