ইমাম খাইর :
কক্সবাজারে ইয়াবা মামলায় দুই আসামীর পৃথক সশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
টেকনাফ থানার জি.আর ৮৯০/১৭ ও রামু থানার জি.আর ১৬৭/১৬ মামলা শুনানি শেষে যুগ্ম জেলা জজ-১ আদালতের বিচারক ছৈয়দ মুহাম্মদ ফখরুল আবেদীন বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় প্রদান করেন।
একটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি টেকনাফের হোয়াইক্যং কলাতলী এলাকার আমির হোসেনের ছেলে মোঃ মনজুর (৩২)কে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
অপর ইয়াবা মামলা নং জি.আর ১৬৭/১৬ এর আসামী রামু খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধোয়া পালং এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মোঃ শাহীন (১৯)কে ৬ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রায় প্রদানকালে দুই আসামি দালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমেদ।
রায় প্রদানকালে আসামি মোঃ শাহীনের পক্ষে হচ্ছে ছিলেন এডভোকেট ফরিদুল আলম। তবে, মোঃ মনজুরের পক্ষে কোন আইনজীবী ছিল না।
মামলার নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের ২৩ ডিসেম্বর ৩৮৩৫টি ইয়াবাসহ মোহাম্মদ মনজুরকে আটক করে বিজিবি।
এ ঘটনায় ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ানের নায়েক সুবেদার মোঃ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩৫/১৭। জি আর ৮৯০/১৭।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাফ মডেল থানার এসআই রাজীব কুমার পোদ্দার হাজার আঠারো সালের ২৪ মার্চ চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন।
অপরদিকে রামু থানার জি.আর মামলা ১৬৭/১৬ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১৬ সালের ৩১ মে রামুর মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস তল্লাসী করে ৩৯০০ টি ইয়াবাসহ মোঃ শাহীনকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ানের নায়েক সুবেদার মোঃ সেলিম রানা বাদি হয়ে রামু থানায় মামলা দায়ের করেন। থানা মামলা নং ৪৪/১৬। জি.আর মামলা নং ১৬৭/১৬। এই দুই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ও সাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে রায় প্রদান করেন আদালতের বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জিয়াউদ্দিন আহমেদ জানান, সরকার ও আদালত মাদকের বিরুদ্ধে কঠিন অবস্থায় রয়েছে। দুইটি ইয়াবা মামলার রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আদালতের রায় তিনি সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-