মোঃ শাহজাহান শাহীন:
অতীত ইতিহাস থেকে জানা যায় জানা এই আসন টি সরকারের গঠনের ভাগ্য নির্ধারক হিসাবে কাজ করে।এই আসনে গত ২৭ বছরে যে দল থেকে সাংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে তার দলই সরকার গঠন করেছে পূর্বের ইতিহাস বলে।
কক্সবাজার -৪ ও ২৯৭ তম আসন উখিয়া টেকনাফ। এই আসনে এইবার আওয়ামীলীগ থেকে নৌকার প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দু’বার নির্বাচিত জনপ্রিয় ও বিতর্কিত নেতা আব্দুর রহমান বদির স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী। অন্যদিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, জেলা বিএনপির সভাপতি জনাব শাহজাহান চৌধুরী লড়বেন ধানের শীষ প্রতীকে।
রাজনৈতিক বিবেচনায় দুই প্রতিদ্বন্দ্বীই রাজনৈতিক পরিবারেরই। উখিয়া টেকনাফে বিএনপির নাম নিলেই আগে আসে শাহজাহান চৌধুরীর পরিবারে।জনপ্রিয়তার কারনে এই আসন থেকে আগেই ও দুইবার নির্বাচিত এমপি।
অন্য দিকে শাহীন আক্তার চৌধুরী রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে আসা আওয়ামী কান্ডারী। বাবা মরহুম নুরুল ইসলাম চৌধুরী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং বর্তমান সাংসদ আব্দুর রহমান বদির স্ত্রী।
জয়প্রিয়তার দিক দিয়ে কেউ কারো কম নই।স্থানীয়দের মতে এইবারের নির্বাচনে খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।মাঠ দুই জনেরই দখলে।তবে বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে এইবার আগ্রহ বেশি শাহিনা চৌধুরীকে নিয়ে।
জানা যায়, ১৯৯১ সালে শাহজান চৌধুরী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এই আসনে জয় লাভ করলে সেই বছর বিএনপি ক্ষতায় আসে কিন্তু ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী জয় লাভ করলে আবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে।
অন্যদিকে ২০০১ সালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী ক্ষমতায় এলে বিএনপি সরকার গঠন করে।একই কায়দায় ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে আব্দুর রহমান বদি জয়ী হলে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করে। এই যেন ভাগ্য নির্ধারক এই আসন সরকার গঠনের জন্যে।তা ছাড়া বিভিন্ন কারনে এই আসনটি সরকারের জন্যে খুবই গুরুত্বপুর্ন।
স্থানীয়দের মতে ফলাফল যাই আসুক বা যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন, সবার একটাই চাওয়া উখিয়া টেকনাফ কে যেন মাদক মুক্ত রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় ও সেই অনুযায়ী কাজ করে এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের দ্রুত ব্যবস্থা করেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-