নিজস্ব প্রতিবেদক :
উখিয়া-টেকনাফ সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরীর প্রচারনায় উখিয়া-টেকনাফের সাধারন জনগনের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বিশেষ করে নারী ভোটাররা আগ্রহ দেখাচ্ছেন বেশি। আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারনা শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন মহিলা সমাবেশ, পথসভা ও মিছিলের মধ্য দিয়ে প্রচারনা চলছে।
অন্যদিকে দুই উপজেলার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ অন্যান্য সংগঠনও মাঠে নেমেছে শাহীন আক্তারের পক্ষে। প্রচারনার প্রথম দিকে একটু নিষ্ক্রিয় থাকলেও যতই দিন যাচ্ছে দলের নেতা-কর্মীরা নৌকার পক্ষে একাট্টা হয়ে নেমেছেন। গত ১০ বছরে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন ও এমপি বদির ব্যক্তি জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে শাহীন আক্তারকে বিজয় করতে কাজ করে যাচ্ছে শাহীন আক্তারের সমর্থকরা। ১১ ডিসেম্বর প্রচারনা শুরু হওয়ার পরে উখিয়া-টেকনাফে প্রায় ২০ টির মত সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যে সভা-সমাবেশে সাধারন লোকজনের ব্যাপক অংশগ্রহন দেখা গেছে।
বিএনপি প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীরও নানা ভাবে প্রচারনা চালাচ্ছেন। তবে বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত উখিয়ার রত্নাপালং, জালিয়াপালং ও হলদিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক-বর্তমান ৩ ইউপি চেয়ারম্যান সহ বিএনপির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা নৌকার প্রার্থী শাহীন আক্তারের পক্ষে প্রচারনা চালাচ্ছেন। রত্নাপালং ইউনয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত খাইরুল আলম চৌধুরী ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন কন্ট্রাক্টর, জালিয়াপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসাইন চৌধুরী, হলদিয়াপালং বিএনপি নেতা এনামুল হক নিয়মিত ভাবে নৌকার পক্ষে প্রচারনা চালিয়ে অাসছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রত্নাপালং ইউপির চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী জানান, চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকার উন্নয়নের জন্য আমি নৌকার পক্ষে প্রচারনা চালাচ্ছি। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে এমপি বদি আমার এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। যার ফলে আমি উন্নয়নের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি।
জালিয়াপালং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসাইন চৌধুরী বলেন, আমি যখন চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলাম তখনকার সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি দলমতের উর্ধ্বে উঠে আমার এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তাই অামি উন্নয়নের পক্ষে নৌকার জন্য কাজ করছি।
রত্নাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান অাব্বাস উদ্দিন জানান, এমপি বদি দানশীল ব্যক্তি। ওনি উন্নয়নের স্বার্থে কোন ভেদাভেদ করেননি। তাই অামরা নৌকায় ভোট দেবো।
উখিয়ার কোটবাজারের ব্যবসায়ী সৈয়দ ফরহাদ জানান, আমরা এ সরকারের আমলে খুব ভালোভাবেই ব্যবসা করছি। তাই আমরা নৌকায় ভোট দিব।
রাজাপালং ইউনিয়নের মহিলা ইউপি সদস্য খুরশীদা বেগম জানান, একজন নারীকে মনোনয়ন দেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমরা নারীরা নৌকার প্রার্থীকেই ভোট দিবো।
টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাহ আলম মেম্বার জানান, এমপি বদি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন করেছন তা অবিস্মরণীয়। এমপি বদির প্রচেষ্টায় উখিয়া-টেকনাফে ৪০ হাজার জনগন চাউল পাচ্ছে। তাই এ ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকাকেই ভোট দেবো।
টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল অালম চেয়ারম্যান জানান, এমপি বদির সাথে রাজনৈতিক ভাবে দুরত্ব থাকলেও নৌকার সাথে কোন দুরত্ব নেই। আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করে উখিয়া-টেকনাফে নৌকার প্রার্থী শাহীন আক্তারকে জয়ী করব।
উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মজিবুল হক অাজাদ জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে নৌকা দিয়েছেন তাকেই আমরা জেতাতে কাজ করব।
উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন সেই শাহীন অাক্তারের জন্য অামরা দিন-রাত পরিশ্রম করছি। ইনশাল্লাহ ৩০ ডিসেম্বর নৌকা বিপুল ভোটে জিতবে।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহীন আক্তার জানান, আমি রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে। আমার স্বামী দীর্ঘ ১০ বছর উখিয়া-টেকনাফে সংসদ সদস্য হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছন। তাই উখিয়া-টেকনাফের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দেয়ার আহবান জানান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-