প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উখিয়া উপজেলার সর্বত্রই উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এক শ্রেণির অসাধু চক্রের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কতিপয় সরকারি কর্মচারীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ
সহযোগিতায় বালি উত্তোলনের ধারাবাহিকতা
অব্যাহত থাকার ফলে উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন
স্থানে ব্রীজ কালভাট, ফসলি জমি, বসতভিটাসহ মূল্যবান জাতীয় সম্পদ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় পরিবেশবাদী সচেতন মহল।
বালি মহালের ইজারা বাতিল করে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকা সত্ত্বেও অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ না হওয়ার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশেষ করে উখিয়া রাজাপালংয়ের তুতুর বিলে এলাকার তৃতুরির ছরা থেকে নির্বিচারে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলনের ফলে ঐ এলাকার সদ্য নির্মিত ব্রীজটি যে কোন মুহুর্তে ধসে পড়তে পারে। এলাকাবাসীর অভিযোগ ঐ এলাকার আজিজুর রহমানের পুত্র চিহ্নিত বালি খেকো আবদুল্লার নেতৃত্বে প্রতিদিন ব্রীজের তলদেশ থেকে বালি উত্তোলন করে চলছে একটি সেন্ডিকেট।
সরকারি ইজারার আওতায় না আসা ছোট এ ছরা থেকে বর্ষার সময় বৃষ্টির পানি চলাচল করে থাকে। এই ছরাটি থেকে প্রতিনিয়ত বালি উত্তোলনের কারনে পাড় ভেঙ্গে অনেকের বসত ভিটা বাড়ি ঘর ছরার গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে বলে স্থানিয় ক্ষতিগ্রস্তরা জানান। এর মধ্যে সবছেয়ে বেশী ঝুকিতে রয়েছে স্থানিয় কবির আহমদের বাড়ির পার্শে সদ্য নির্মিত ব্রীজটি।
রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির কবির চৌধুরীর একান্ত উদ্যোগে নির্মান করা এ ব্রীজদিয়ে হরিনমারা, মশরফ আলী ঘোনার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকে। একজন বালি খেকো আবদুল্লার কারনে বন্ধ হয়ে যেতে পারে তাদের যাতায়তের এক মাত্র রাস্তাটি। নিরহ এলাকাবাসী ও ব্রীজ রক্ষার সার্থে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-