জনশ্রুতি রয়েছে উখিয়া-টেকনাফ ভাগ্যমাতা আসন।এ আসন থেকে যেদলের প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন,সেদলই সরকার গঠন করে।সেজন্য এ আসনের মর্যাদা আলাদা চোঁখে দেখেন দলের প্রধান ও নীতিনির্ধারকরা।
তাই নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে,ততই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হচ্ছে উখিয়া-টেকনাফের রাজনীতি।পুর্বের তুলনায় সভা-সমাবেশ করে প্রার্থীরা জানান দিচ্ছেন নিজেদের শক্তি বলয়।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উখিয়া-টেকনাফ আসন থেকে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রচার-প্রচারণা,গণসংযোগে সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী এলাকা।
এতে সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ।দলীয় প্রার্থীরা যে যার মত করে শক্তি সঞ্চয় করে চলেছেন।ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগ থেকে ৭ জন,বিএনপিতে একক, জাতীয় পার্টি থেকে ৪ জন প্রার্থী হওয়ার মনোনয়ন দৌড়ে আছেন।আওয়ামীলীগ থেকে ক্লিন ইমেজের একঝাঁক সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী নতুন মুখ মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন।
গত কোরবানের ঈদ পরবর্তী সাধারণ মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়,ব্যক্তিগত বৈঠক,চা আড্ডা,ঘরোয়া বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছে এসব নেতারা।এছাড়াও হাট-বাজার ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিজেদের পোষ্টার, ব্যানার, পেষ্টুন, বিলবোর্ড টাঙ্গিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। সমান ভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে মহাজোটের অন্যতম শরীক দল জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও।
তবে এই নির্বাচনী প্রচারণার মাঠে এখনো দেখা যাচ্ছে না বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী কোন নেতাকে।অথচ উখিয়া-টেকনাফ আসনে জামায়াত-বিএনপির একটি শক্ত অবস্থান রয়েছে।তাতে বিএনপি থেকে এ আসনে একক প্রার্থী হিসেবে মাঠে নাম শোনা যাচ্ছে চারবারের সাবেক সংসদ সদস্য,সাবেক হুইপ,জেলা বিএনপি’র সভাপতি বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ শাহজাহান চৌধুরীর।
জামায়াতের কোন প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণা দেখা না গেলেও জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে শোনা গেলেও মাঠ পর্যায়ে নেই।
অনেকটা রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন তিনি।তবে জোটগত নির্বাচন হলে বিএনপি থেকেই শাহজাহান চৌধুরী একক প্রার্থী হবেন, তাতেই কোন সন্দেহ নেই।
অপর দিকে আওয়ামীলীগ থেকে হাফ ডজনের বেশি প্রার্থী ইতিমধ্যেই মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।তার মধ্যে দুই বারের নির্বাচিত বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি মনোনয়ন দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে।তিনিও পুনরায় দল থেকে মনোনয়ন পেতে মাঠে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। দলীয় অন্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভীড়ে আবদুর রহমান বদি বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারেন এমনটাই আশংকা উড়ে দেওয়া যায় না।এর পরও তৃণমুলের আম জনতার কাছে আবদুর রহমান বদি জনপ্রিয়তাই এগিয়ে।তিনি উখিয়া-টেকনাফে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।যা অতীতের সংসদ সদস্যদের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছেন।
তবে তাঁকে নিয়ে উখিয়া-টেকনাফ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দ্বিধা-বিভক্ত।
“এক প্রতিক্রিয়ায় আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদি এমপি মুঠোফোনে বলেন,গত ১০ বছর জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হিসেবে উখিয়া-টেকনাফের জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম। উখিয়া-টেকনাফে হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি।
অাশা করছি জননেত্রী শেখ হাসিনা ভবিষ্যতও আমাকে মনোনয়ন দিবেন।
তিনি অারো বলেন, কতিপয় নেতা আমার বিরোধীতা করে বরং বিএনপি-জামায়তকে সুবিধা করে দিচ্ছেন। এসব নেতারাই আমার সমালোচনা করছেন। ইয়াবা নিয়ে তিনি বলেন,আমি বারবার বলেছি আমার ইয়াবা সম্পৃক্ততা প্রমাণের জন্য। কিন্তু কোন সমালোচনাকারী প্রমান দিতে পারেনি।”
আওয়ামীলীগ প্রধান শেখ হাসিনার ঘোষনা নির্বাচনী এলাকার জনপ্রিয়তা যাচাই করে মনোনয়ন দেওয়া হবে,সে ঘোষনা বাস্তবায়ন হলেই আবদুর রহমান বদিই আওয়ামীলীগের মনোননয়ন পাবেন বলে দলের তৃণমুলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন।
এদিকে আওয়ামী ঘরানার নতুন মুখদের মধ্যে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ করে নিজেদের শক্ত অবস্থানের কথা জানান দিচ্ছেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সরকারের বর্তমান মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের ছোট ভাই, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম।
বাংলাদেশ তাঁতীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরি সভাপতি সাধনা দাশ গুপ্তা, কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহাম্মদ বাহাদুর, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী,টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক,পৌর কাউন্সিলর নুরুল বশর,জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি, সাবেক অর্থ সম্পাদক শাহ আলম চৌধুরী প্রকাশ রাজা শাহ আলম,সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আলী আহমদ
প্রমুখ।
তৎমধ্যে মনোনয়ন প্রাপ্তি নিয়ে মাঠে সক্রিয় আছেন আবদুর রহমান বদি’র পর সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী,কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর,কেন্দ্রীয় তাঁতী লীগের কার্যকরী সভাপতি সাধনা দাশ গুপ্তা,উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাংগীর কবির চৌধুরী।
দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য প্রার্থীরা শুরুতেই সক্রিয় থাকলেও বর্তমানে তাদের প্রার্থী হিসেবে মাঠে দেখা মিলছেনা।উখিয়া-টেকনাফ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর দৌড়ঝাঁপ দেখা গেলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কক্সবাজার জেলা সভাপতি ও সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। যার ফলে বিএনপি ঘরাণার নেতাকর্মীদের মাঝে কোন টেনশন নেই বললেই চলে। তবে তাদের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোন প্রচার-প্রচারণা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
অপরদিকে মহাজোট সরকারের অন্যতম শরীক দল জাতীয় পার্টিও এই আসন থেকে মনোনয়ন পেতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় কমিটির প্রভাবশালী সদস্য ও উখিয়া উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো।এছাড়াও টেকনাফ থেকে জাতীয় পার্টির আরেক নেতা মাষ্টার এম.এ মঞ্জুর নিজেদের শক্তিশালী প্রার্থী দাবী করে প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হতে পারেন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া তাহা ইয়াহিয়া। তাহা ইয়াহিয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী না হলে বাবা ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আনিসুর রহমান ইয়াহিয়াও প্রার্থী হতে পারেন এমনটাই লোকমুখে শোনা যাচ্ছে।
প্রার্থীদের অনেকেই নিজেদের ছবিযুক্ত রং বেরংয়ের পোষ্টার, লিফলেট লাগিয়ে উখিয়া-টেকনাফকে পোষ্টারের নগরীতে পরিনত করেছেন।উখিয়া-টেকনাফ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাধনা দাশ গুপ্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশে আমি মাঠে কাজ করছি। জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সবার সাথে আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি জীবনের শেষ বয়সে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করব।আশা করি এ আসন মাদকমুক্ত হলে একটি সুস্থ্য জাতি উপহার দিতে পারবো।
আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, উখিয়া-টেকনাফ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সকল নতুন মুখদেরকে স্বাগত জানাই। কারণ রাজনীতি করার ও মনোনয়ন চাওয়ার অধিকার সবার রয়েছে।আওয়ামীলীগ বড় দল হাজারো ফুল ফুটবে,জননেত্রী শেখ হাসিনা সেখান থেকে একটি ফুল বেছে নেবেন।
যাকে মনোনয়ন দেবেন তাঁর পক্ষে কাজ করবেন বলেও জানান জাহাংগীর চৌধুরী। দলে কোন ধরণের কোন্দল বা গ্রুপিং নেই বলেও দাবী করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ থেকে মাঠ সরগরম করে রাখা অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যক্ষ শাহ আলম বলেন, সারাদেশে মাদক নিয়ে কক্সবাজারের দূর্নাম রয়েছে। মনোনয়ন পেলে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে উখিয়া-টেকনাফকে মাদকমুক্ত করব।এদিকে গত ২৫ আগষ্ট জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমদ বাবলু কক্সবাজার এসে মহাজোটের নেতা হিসেবে উখিয়া-টেকনাফ থেকে জাতীয় পার্টি মনোনয়নের বিষয়ে নেতাকর্মীদের সিগন্যাল দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ব্যবসায়ী আলহাজ্ব আনিসুর রহমান ইয়াহিয়া অথবা ছেলে তাহা ইয়াহিয়া প্রার্থী হবেন বলে তাহার ঘনিষ্ট সুত্রে শোনা গেলেও মাঠে নেই।
জাতীয় পার্টি’র অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো সাংবাদিকদের বলেন,এ আসনে আওয়ামীলীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে। বিগত ১৫ বছর ধরে উখিয়া-টেকনাফ নির্বাচনী আসন থেকে মনোনয়ন চেয়ে আসছি।
জাতীয় পার্টি মহাজোটে থাকায় দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যায়নি কখনো।আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের আদর্শে রাজনীতি করে আসছি। দেশে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলেও নীতি-নৈতিকতার আদলে জাতীয় পার্টির পতাকাতলে অবিচল ছিলাম,আছি।
প্রভাবশালী এই নেতা আরো বলেন, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের শরিক দল হিসেবে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেলে নির্বাচন করব। উখিয়া-টেকনাফের মানুষ দল, মত নির্বিশেষে আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে ইনশাআল্লাহ।
প্রসংগত: এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে উখিয়া-টেকনাফ আসনে মোহাম্মদ আলীকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীর কাছে ১০ হাজার ভোটে হেরে যান মোহাম্মদ আলী।
১৯৯৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে (কয়েকদিন পর সংসদ ভেঙে যায়) মোহাম্মদ আলীকে আবারও নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়। সেই নির্বাচনেও ধানের শীষের প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী জয়ী হন। ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তালা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আবদুর রহমান বদি। মূলত তখন থেকেই বদির নির্বাচনীয় রাজনীতি উত্থান শুরু।
১৯৯৬ সালের ১২ জুনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শাহজাহান চৌধুরীকে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হন নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ আলী। ওই নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী নির্বাচন করায় হেরে যান বিএনপি প্রার্থী। ২০০১ সালের নির্বাচনে আবদুর রহমান বদি নৌকার মনোনয়ন চাইলেও তাকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীর কাছে প্রায় ৪৭ হাজার ভোটে হেরে যান নৌকার প্রার্থী মোহাম্মদ আলী।তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয় আবদুর রহমান বদিকে। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরীকে ২৪ হাজার ভোটে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন আব্দুর রহমান বদি।
ওই নির্বাচনে আবদুর রহমান বদি পেয়েছিলেন ১ লাখ ৩ হাজার ৬২৬ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী বিএনপির শাহজাহান চৌধুরী পেয়েছিলেন ৭৯ হাজার ৩১০ ভোট।
২০১৪ সালের নির্বাচনে কক্সবাজারের চারটি আসনের তিনটিতে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন বিনাভোটে। শুধুমাত্র উখিয়া-টেকনাফে আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। সেই নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রার্থী তাহা ইয়াহিয়াকে প্রায় ৯৯ হাজার ভোটে পরাজিত করেন আবদুর রহমান বদি।
আবদুর রহমান বদি পেয়েছিলেন ১ লাখ ৫ হাজার ৮৪৯ ভোট।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দল থেকে কে প্রার্থী হচ্ছেন, কে নির্বাচিত হবেন তা দেখতে ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।কার ভাগ্যে জুটছে মনোনয়ন আর জয়ের মালা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-