আসসালামু আলাইকুম। আগামী ৪/৩/২৫ইং তারিখে উখিয়া উপজেলার হাটবাজার সমূহ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ইজারা প্রদান করা হবে।
প্রতিনিয়ত দেখেই আসছি, যে সমস্ত বাজার পূর্বে ৫-৬ লাখ টাকা বাজারমূল্য ছিলো সেটি আজ অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণে সিডিউল মুল্যের চেয়ে অধিক টাকা বা কোটি টাকা দিয়ে ইজারা নেওয়ার প্রবনতা বেড়ে গেছে । কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, আপনাদের এই অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণে অসহায় দিনমজুর যে মানুষগুলো ক্ষেত খামারের ফলন বাজারে নামমাত্র মুল্যের পণ্য বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে গেলে শতাধিক টাকা ইজারা প্রদান করতে হয়।
অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে জানাচ্ছি উখিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত কোটবাজারের কাঁচা বাজারে ব্যবসা করতে গিয়ে বাজারের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে নিম্ন উল্লেখিত আমি মিথ্যা মামলার শিকারও হয়েছি। অথচ জমির সাথে আমার কোন লেনাদেনা নেই সেটি একান্ত সরকারি বাজার সংক্রান্ত বিষয়। এছাড়াও এক ধরনের বাজার সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও সাধারণের জন্য নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি করে। এইছাড়াও দিন শেষ হতেই দেখা যায় ফুটপাত ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দোকানদার থেকে ইজারার টাকা বৃদ্ধি পায়। সারাদিনের পরিশ্রমের ইনকাম বাজারের ইজারায় শেষ হয়ে যায়।
অনেক ব্যবসায়ীকে শূন্য পকেটে ফিরতে হয় বাসায়। তখন দেখা যায় বাসার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসও কেনার সামর্থ্য থাকে না। পরিবারের সদস্যদের সামনে মুখ দেখানো যায় না। এমন অভিযোগ প্রতিনিয়ত সাধারণ ব্যবসায়ীরা করেই যাচ্ছেন। অন্যদিকে ‘অতিরিক্ত ইজারার টাকার দেওয়ার জন্য পণ্যের দামও অতিরিক্ত বাড়াতে হয়। যা আবার সাধারণ ক্রেতাদের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা হয়।
উপজেলা প্রশাসনের দরপত্র আহবানের পর ইজারায় আগ্রহীরা অসুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সর্বোচ্চ সিডিউল মূল্যে ইজারা নিতে মরিয়া হয়ে পড়ে। অথচ এই অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণে সাধারণ ভোক্তা মহলে পণ্যের দামের উদ্বোর্গতির কারণে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ ১৫ বছর স্বৈরাচার শাসনামলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিল কে তাল বানিয়ে দেশে দখলের যে প্রতিযোগিতা কয়েম করেছি তা এখন নেই। দেশ এখন সম্পুর্ন স্বাধীন। আমরা এই স্বাধীন দেশে মানুষ মারার প্রতিযোগিতাকে কবর রচনা করে মুক্ত বাতাসের সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই।
আসুন সবাই মিলে অসুস্থ প্রতিযোগিতাকে পরিহার করে ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের মঙ্গলজনক একটি বাজার উপহার দেওয়ার দিকে নজর দেই।
আমরা যারা সাধারণ ব্যবসায়ী আছি তাদের অবস্থা বনের নিরহ প্রানীর মতো হয়। এইছাড়া কোটবাজার এতো বড় হাট বাজার হওয়া স্বত্বেও নেই কোন ময়লা আবর্জনা ফেলার নিদিষ্ট স্থান এবং নেই একটি খাওয়ার পানির টিউবওয়েল ক্রেতা বিক্রেতাদের পানি সমস্যা দুর করাও একান্ত জরুরী। অথচ এই বাজার থেকে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে। এই ব্যপারে সকলের সজাগ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ থাকবে যারা কোটাবাজার ইজারা নেওয়ার চিন্তায় আছেন সবকিছু বিবেচনা করে বাজারের ইজারার সিদ্ধান্ত নিবেন। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি লাভের জন্য অতিরিক্ত দাম দিয়ে বাজার ইজারা নিবেন না। সবকিছু সমন্বয় করে বাজার ইজারা নিবেন। এতে করে সাধারণ ব্যবসায়ীরা বাঁচবে। আর বাঁচবে সাধারণ ক্রেতা ও ভোক্তারা। অন্তত দিনশেষে হাসিমুখে বাড়ি ফিরবেন সবাই।
অন্যথায়, বাজারে কোন ব্যবসায়ীদের সাথে অন্যায় অনিয়ম হলে আমরা ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নায্য আদায়ে আন্দোলন ও প্রতিবাদ চালিয়ে যাবো।
- ইতি আপনাদেরই আপনজন মো হারুনুর রশিদ
- সাধারণ সম্পাদক
- কোটবাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ, কাঁচাবাজার, কোটবাজার, উখিয়া কক্সবাজার।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-