ড. ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে কোন দল কী বলল

কক্সবাজার জার্নাল ডটকম :

সংলাপের ধারাবাহিকতায় কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

যমুনায় শনিবার শুরুতে ছয়টি ইসলামী দলের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। পরে আলোচনায় অংশ নেয় ১২ দলীয় জোট, এলডিপি, বাংলাদেশ জাসদ, গণফোরাম ও জাতীয় পার্টি।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য রোডম্যাপের পাশাপাশি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি তুলেছে দলগুলো। ইসলামী দলগুলোর বেশিরভাগই নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির সুপারিশ করেছে।

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় দুপুর ৩টা থেকে এই সংলাপ শুরু হয়। প্রথমে আলোচনায় যায় ৬টি ইসলামী দল, যারমধ্যে চারটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। পরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও এলডিপি যায় বৈঠকে।

এরপর ১২ দলীয় জোট এবং বাংলাদেশ জাসদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। সন্ধ্যার পর তিনি বৈঠক করেন গণফোরাম ও জাতীয় পার্টির সঙ্গে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনূস এর আগে বৃহস্পতিবার বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন।

ইসলামবিরোধী আইন চায় না খেলাফত
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ইসলামবিরোধী কোনও আইন যাতে না হয়, সে বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মুহাম্মাদ মামুনুল হক। তিনি হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিবের দায়িত্বেও রয়েছেন।

তার নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন হেফাজতে ইসলাম সংশ্লিষ্ট খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত আন্দোলন ও হেফাজতে ইসলাম।

যমুনায় বৈঠক শেষে মামুনুল সাংবাদিকদের বলেন, ক্রান্তিকালে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তারা যার যার দলের পক্ষ থেকে সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ধরেন।

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোটের দাবি তুলে ধরেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমান ব্যবস্থায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভোটারদের প্রতিনিধিত্ব থাকে।

“বিচার বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ এবং প্রশাসনে আমূল পরিবর্তন বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীকেন্দ্রিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার যে আয়োজন, সেখানে যেন ভারসাম্য তৈরি করা হয়। দুই বারের বেশি যেন কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে না পারে।”

আওয়ামী লীগ সরকার আমলে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা মামুনুল বলেন, “হেফাজতের আন্দোলনে সকল শহীদ ও নিখোঁজদের তালিকা ও ট্রাইবুনাল গঠন করে দোষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে।
“ইসলামবিরোধী আইন যাতে না হয়, তা বলেছি। আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা এবং বিশ্বাসের যে ধারা সংবিধান থেকে বাতিল করা হয়েছে, তার পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছি।”

যৌক্তিক সময় নিয়ে সংস্কারের কাজ করবে অন্তর্বর্তী সরকার- এই আশা রেখে মামুনুল হক বলেন, “অযথা কালবিলম্ব না করে যেন নির্বাচনের আয়োজন করেন, সে বিষয় বলেছি। তারা বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার করে কালবিলম্ব না করে তারাও নির্বাচনের দিকে চলে যেতে আগ্রহী।”

যৌক্তিক সময় কতদিন- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “এ বিষয় নিয়ে আমাদের পক্ষ েথকে কোনও সময় দেওয়া হয়নি।”

শেখ হাসিনা সরকারের আমলে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে যেসব চুক্তি সই হয়েছে, তার মধ্যে ‘দেশবিরোধী’গুলো বাতিল চেয়েছেন বলে জানান খেলাফত মজলিসের আরেক অংশের মহাসচিব আহম্মদ আব্দুল কাদের।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা চাই, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে তাকে ও তার দোসরদের বিচার করতে হবে।”

আলোচনায় ১২ দফা দাবি তুলে ধরেছেন জানিয়ে কাদের বলেন, “৮ দফা প্রস্তাব দিয়েছি সংস্কারের জন্য।”

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে নির্বাচনী আইনে সংস্কারের দাবিও জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিতে চাইলেও তিন বছর অনেক বেশি সময় বলে মন্তব্য করেন কাদের।
আওয়ামী সরকারের আমলে দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস্ব হয়ে গেছে বলে মনে করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা সুনির্দিষ্টভাবে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেছি। এগুলো পুনর্গঠন করা, আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক করা, অর্থনীতি চাকা সচল রাখা ”

কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের সুযোগ না পায়, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে নতুন সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সংস্কারে কত সময় দেবেন- এপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুকে যদি হাঁটতে বলা হয়, দৌড়াতে বলা হয়, সেটা তো সম্ভব না।”

সংখ্যানুপাতিক ভোট চায় ইসলামী আন্দোলন
গত কয়েকটি নির্বাচনে ভোটের হারে গড়ে তৃতীয় স্থানে থাকা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোটের দাবি জানিয়েছে।

দলটির আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বলেন, “সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচন হবে, দল ও মার্কা থাকবে। জনগণ ভোট দেবে, যে দল সংখ্যক ভোট পাবে, সে অনুযায়ী তাদের প্রতিনিধি সংসদে থাকবে। তাহলে দেশ সুন্দরভাবে চলবে। বৈষম্যমূলক অবস্থা সৃষ্টি করার মতো কোনও বিষয় থাকবে না।”

চরমোনাই পীর বলেন, “২০১৪, ১৮ ও ২৪ নির্বাচনগুলো করার ব্যাপারে যারা প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করেছে, মিডিয়াসহ যারা সহযোগিতা করেছে, তাদের অন্যায় চিহ্নিত করে নির্ভরযোগ্য কমিশন গঠনের মাধ্যমে এই অন্যায়কারীদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।”
কতদিনের মধ্যে নির্বাচন চান- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা বলেছি, খুব শিগিরই। কিন্তু ব্যাপারটা তো আমাদের হাতে না। এক দিন, দুই দিন নির্ধারণ করে বলাও যায় না।”

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবি তুলে তিনি বলেন, “নির্বাচনটা কীভাবে হবে এবং কীভাবে হবে, একটা রোডম্যাপের ব্যাপারে আমরা বলেছি। প্রধান উপদেষ্টা সাধুবাদ জানিয়েছেন।”
যতটুকু সময় লাগে, তা দেবে জাতীয় পার্টি সংস্কারের প্রয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে দীর্ঘ সময় দিতেও আপত্তি নেই জাতীয় পার্টির, যারা আওয়ামী লীগের আমলে বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল।

বৈঠক শেষে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, “দেশের প্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্বাচিত সরকার হলে সেই কাজগুলো করতে চায় না।

“আমাদের চেয়ারম্যান বলেছেন, তারা অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন আছে। দেশের মানুষ আশা করে, আপনারা কাজগুলো করবেন।”

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য আনার প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় পার্টি। দুই বারের বেশি কেউ যেন প্রধানমন্ত্রী হতে না পারে, সরকার প্রধান যেন সংসদ নেতা হতে না পারে, সেই বিধান প্রণয়নের সুপারিশ করেছে দলটি।

আওয়ামী লীগ আমলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে চুন্নু বলেন, সংবিধান অনুযায়ী যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সেসব নির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশ নিয়েছে।

ক্ষমতায় ভারসাম্য চায় গণফোরাম সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে যে একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়া আছে তা কমিয়ে এনে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের ক্ষমতার ভারসাম্য আনার প্রস্তাব দিয়েছে ড. কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন গণফোরাম।

বৈঠক শেষে গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল বলেন, “অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন। আমরা ওনার কাছে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছি।”

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে প্রস্তাব করেছি। সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।”

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুর্নবহালের প্রস্তাব করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি, বিগত নির্বাচনগুলো (দশম-দ্বাদশ) কখনও রাতে ভোট করা হয়েছে, কখনও প্রশাসনের মাধ্যমে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকা হয়েছে।

“এতে সংবিধান অনুযায়ী ভোটাধিকার নিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। তাই আমরা সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিতে বলেছি।”

মিজানুর বলেন, “দেশের সম্পদ পাচার নিয়ে আমাদের নেতা কামাল হোসেন সবসময় সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু সেই সরকার আমলে নেয় নাই। তাই আমরা বলেছি, টাকা পাচার যারা করেছে, ব্যাংক দখল করেছে, সেই লুটেরাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। বিদেশ থেকে অর্থ ফেরত আনতে হবে।”

আন্দোলনে হতাহতদের তথ্য পূর্ণাঙ্গ করে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে গণফোরাম। থানা থেকে যে অস্ত্র লুট হয়েছে, তা দ্রুত উদ্ধারের দাবিও জানিয়েছে তারা।

মিজানুর জানান, সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে কামাল হোসেনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি প্রস্তাব গণফোরাম দেবে।

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবি অলির বিএনপির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে এক সময় মহাজোটে থাকা এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবি তুলেছেন।

তিনি সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের বলেন, “ছোট ছোট ভুলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হতে পারলে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন কেন বাতিল হবে না?

“আমাদের হাজার হাজার ছেলে-মেয়েকে হত্যা করার জন্য, ১৫ বছরে আরও কয়েক হাজার গুম করার জন্য তাদেরটা কেন বাতিল হবে না?” পাঠ্যপুস্তক থেকে ধর্মবিরোধী সব বিষয় বাতিল করার দাবিও জানান তিনি।

অলি বলেন, “এখনও চাঁদাবাজমুক্ত হয়নি (দেশ)৷ কোর্ট কাচারিতে ন্যায়বিচার হয় না। কোনো অবস্থাতেই ইসলাম ধর্ম মানে না৷ আল্লাহকে মানে না। রাসূলকে মানে না। তাদের ছাড় দেওয়ার কোনও কারণ নেই।”

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এক সময়ের এই নেতা বলেন, “শেখ মুজিব বিদ্রোহ করে নাই। শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় নাই। তিনি পাকিস্তানের কাছে আন্তসমর্পণ করেছে।”
নির্বচনের সময় নিয়ে অলি বলেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনটা হতে হবে, এটা অন্তর্বর্তী সরকার, রাজনৈতিক দল ও দেশের জন্য ভালো। কিন্তু সংস্কার হওয়ার পূর্বে নির্বাচন হওয়া কোনও অবস্থাতেই বাঞ্চনীয় নয়।”

পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা, সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় নির্বাচনের একটি সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করার দাবি জানান তিনি।

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে ভোট চান কি না- জানতে চাইলে অলি বলেন, “আমরা কমিউনিস্ট না।”

বর্তমান সংবিধানের আলোকে সংস্কার চায় বাংলাদেশ জাসদ
বর্তমান সংবিধানের আলোকে প্রয়োজনীয় সংস্কারের প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ জাসদ।

দলটির সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া সাংবাদিকদের বলেন, “পুলিশ সংস্কার একটা বিশাল কাজ। রাষ্ট্রের জন্য পুলিশকে তৈরি করা। কালো আইন বাতিল। পুরো বিচার ব্যবস্থা সংস্কার করতে হবে।
“দণ্ডিত দুর্নীতিবাজরা যাতে কোনোদিন নির্বাচনে আসতে না পারে, কালো টাকা বাংলাদেশের রাজনীতিতে রিসাইকেল যাতে না হয়, সে দিকে কঠোর নজরদারি করতে হবে।”

দলটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, “আমরা মুক্তিযুদ্ধের পর দেশটাকে নতুন করে সাজাতে ব্যর্থ হয়েছি। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পরেও দেশ গঠনে ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু এবার ব্যর্থ হতে চাই না বলে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছি।”

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চায় সমমনা জোট
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে যৌথবাহিনীর মাধ্যমে অভিযান পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট।
বৈঠক শেষে জোটের সমন্বয়কারী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ সাংবাদিকদের একথা জানান।
তিনি বলেন, “আমরা দাবি দিয়েছি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার। দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না। কী কী সংস্কার করবে, তার একটা রোডম্যাপ ঘোষণা দেন। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করতে হবে।”

বিএসএমএমইউ আবু সাঈদের নামে করার দাবি ১২ দলের
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের নামে করার দাবি জানিয়েছে ১২ দলীয় ঐক্য জোট।

জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম সাংবাদিকেদর জানান, পাশাপাশি উত্তরার নাম পরিবর্তন করে ‘মুগ্ধ নগর’ করার প্রস্তাবও অন্তর্বর্তী সরকারকে দিয়েছেন তারা।

জোটের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির একাংশের সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, “আমরা লিখিতভাবে ১২ দফা দিয়েছি। সংকট দূর করতে একটু সময় লাগবে। সেই সময় দিতে দেশবাসী প্রস্তুত রয়েছে। সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার কায়েম করা আমাদের লক্ষ্য।”

এই বৈঠকে জি এম কাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এই জি এম কাদের গং ছলে বলে কৌশলে জনগণকে হত্যা করেছে।”