নিজস্ব প্রতিবেদক :
বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে মিয়ানমার হতে এদেশে অনুপ্রবেশকালে ফিশিং বোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে নারী-শিশুসহ ৯ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া ও রাজারছড়া ঘাটে গতকাল সকাল ৯টায় বোট ডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একমাত্র জীবিত তাবদিলা নামে এক নারী জানান, বোটে ৩১ জন রোহিঙ্গা ছিলেন।
এর মধ্যে তার স্বামী, তার দুই মেয়ে, তিন নাতনি ও মেয়ের জামাই ছিলেন। দুই মেয়ে ও দুই নাতনির লাশ পেয়েছে। বাকিদের খোঁজ মেলেনি। তিনি জানান, গতকাল ভোর ৪টার দিকে মিয়ানমারের মংডুস্থ ফয়েজি পাড়া বরাবর ঘাট হতে বোটে উঠেন।
নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সকাল ৯ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবির ছড়া ও রাজারছড়া সৈকত বরাবর পৌঁছলে বোটটি ডুবে যায়। এতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রোহিঙ্গা স্বজনরা সৈকতে ভিড় জমিয়েছে।
স্থানীয় মেম্বার রশিদ আহমদ জানান, প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে। বিজিবিকে বিষয়টি জানিয়েছেন। থানায় খবর দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহি উদ্দিন আহমেদের মুঠোফোনে বার বার কল করা হলেও কল রিসিভ করেননি। এ ঘটনায় টেকনাফের সৈকতে স্বজনদের আহাজারি চলছে। নিহত সকলে রোহিঙ্গা মুসলিম।
সেদেশে অব্যাহত যুদ্ধের ফলে রোহিঙ্গারা প্রতিনিয়ত এদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। বিজিবি-কোস্ট গার্ড সীমান্তে কড়া সতর্ক থাকলেও তাদের ফাঁকি দিয়ে রাতের আধাঁরে এ অনুপ্রবেশ ঘটে। এর মধ্যে বিজিবির হাতে অনেকে আটক হলেও বেশির ভাগ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মীয় স্বজনদের কাছে আশ্রয়ে চলে যায়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-