কক্সবাজারে সাংবাদিকদের উপর আ.লীগ-ছাত্রলীগের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজারে কোটা আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হয়েছে সাংবাদিকরা। এসময় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শহরের লালদিঘিরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

হামলার শিকার সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন চ্যানেল ২৪ এর কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি আজিম নিহাদ, দেশ টেলিভিশনের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি সৌরভ দেব, একাত্তর টিভির ক্যামেরাপার্সন হেলাল উদ্দিন, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিসিএনের মিশু দাশ গুপ্ত।

এ সময় অনেকেই হুমকি পেয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে দৈনিক আজাদীর কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি আজিজ রাসেল।

জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের বিমান বন্দর সড়ক থেকে কিছু সংখ্যক আন্দোলনকারী মিছিল সহকারে প্রধান সড়কে উঠে বাজারঘাটার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরির শহিদ দৌলত ময়দানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া করে আন্দোলনকারীদের।

এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন সাংবাদিকরা। তখন সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলা করে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

রিপোটার্স ইউনিটি কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক এম ওসমান গনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এসময় তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে যখন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হচ্ছিলো তখন আমাদের সহকর্মীরা পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলা করা হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দ্রুত সময়ে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

হামলার শিকার দেশ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সৌরভ দেব বলেন, মূলত আমরা সংবাদ সংগ্রহে যাই। সেখনে একজন টমটম চালকের উপর অমানবিক হামলা হতে দেখে আমরা এগিয়ে যাই। এসময় আমাদের উপরও দেখেশুনে লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করা হয়।

হামলার শিকার চ্যানেল ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি আজিম নিহাদ বলেন, যখন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হচ্ছিলো তখন পেশার খাতিরে আমরা সবাই আসি। এসময় আমরা জানতে পারি একজন নিরীহ টমটম চালককে মারধর করা হচ্ছে। এটা যখন আমরা ধারণ করছিলাম তখন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। আমরাতো আন্দোলনকারী না আমাদেরকেই কেন টার্গেট করা হবে।

একাত্তর টিভির ক্যামেরাপার্সন হেলাল উদ্দিন বলেন, আমি যখন ভিডিও করছিলাম তখন আমার ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। ক্যামেরা ভাঙচুর করার চেষ্টা চালিয়েছে। এসময় আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করা হয়।

পরে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামানকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি এরকম কিছু জানি না। আমি এখন আসলাম। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক।