কক্সবাজারে নালায় গাড়ি গ্যারেজ, বসতি ও বর্জ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক :

  • উচ্ছেদে প্রশাসনের যথাযথ সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ মেয়রের

পর্যটন নগরী কক্সবাজারে জলাবদ্ধতা নিরসনে নালা ওপর নির্মাণ করা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে পরিচালিত অভিযান দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রেখেছে পৌর পরিষদ।

অভিযানের দ্বিতীয় দিন সোমবার সকাল থেকে কক্সবাজার শহরের তারাবানিয়ার ছড়া হয়ে পাহাড়তলী-লাইট হাউস এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃর্ণ আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ নালা ঘুরে দেখেন কক্সবাজার পৌর মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমানের নেতৃত্বে পৌর পরিষদ।

ওই নালাটিতে ঘুরে দেখা মিলেছে নালার উপর তৈরি করে রিক্সার গ্যারেজ, বসতি বা রান্নার ঘর। আর নালায় নালায় বাসা বাড়ির বর্জ্যের স্তুপ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পৌর মেয়র।

অভিযানে কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ পাড়ায় নালার ওপর থাকা রিক্সার গ্যারেজ সহ ৫ টি স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।

এই সময় পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী পৌরবাসিকে বাসা বাড়ির বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, নালায় বর্জ্য রাখার কারণে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধতা তৈরি হচ্ছে। দয়া করে বর্জ্য নিধারিত স্থানে বা পলিথিন করে বাড়িতেই রাখুন। পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এসব বজ্য নিয়ে যাবে।

এ সময় পৌর মেয়র অভিযোগ করেন পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানোর পরও কোন প্রকার সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে জনগনের সহযোগিতায় অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।

গত বুধবার (১০ জুলাই) রাত থেকে কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত অব্যাহত ছিল ওই বৃষ্টি। আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৩০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টিতে কক্সবাজার জেলাজুড়ে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। শহরের প্রধান সড়ক, উপসড়ক তলিয়ে বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পড়ে পানি। যে জলাবদ্ধতা আগে দেখেনি শহরবাসি। ফলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন শহরবাসী।

এর প্রেক্ষিতে শনিবার বিকালে কক্সবাজার পৌরসভা কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সভার পর পর্যটন নগরী কক্সবাজারের জলাবদ্ধতা নিরসনে রবিবার থেকে নালার অবস্থান নির্ধারণ, দখল করে নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছে কক্সবাজার পৌর পরিষদ। ঘোষণা মতেই রবিবার থেকে এই অভিযান চলছে।

পৌর মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, কক্সবাজার শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোট ৫ টি নালা। এই নালা দখলকারি হিসেবে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে কয়েক বছর আগে একটি তালিকা তৈরি হয়েছে। যে তালিকা তৈরির কাজে সিনিয়র সাংবাদিকসহ জেলা বিশিষ্টজনরা ছিলেন। ওই তালিকাটি ধরেই অভিযান শুরু হয়েছে। নালা আগের অবস্থানে না ফেরা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।