আফজাল হোসাইন :
একটা মানুষ দেশের সকল মানুষদের ছাগল বানিয়ে যা খুশী তাই করে করে ভেবেছিল- এটাকেই বলে সফল জীবন, স্বার্থক জীবন, উচ্চতর জীবন। দেশের বহু মানুষের মনেই এমন অন্যায় বাসনা রয়েছে। বহু মানুষই এমন সফল, স্বার্থক, উচ্চতর জীবন চায়। পাওয়ার জন্য সুযোগ পেলে যে কোন ধরণের অন্যায়, মন্দ কাজ করতে পিছপা হবেনা অনেক সাধু মানুষ।
ধরা পড়ে যে মানুষটা সকলের ছিঃ থু, গালাগাল খাচ্ছেন- ধরা পড়বার আগে একই মানুষটা তো পরিবার, সমাজ এবং দেশের বহু স্তরে সন্মানিতই ছিলেন, শুধু সন্মানিত নয় ছিলেন অধিক পরিমানে সন্মানিত। এ কথার মানে, অন্যায়ে যদি লাভ হয়- সে অন্যায়ে সায় দিতে, স্বীকার করতে আমরা দ্বিধাহীন। আমরা সবাই সবার লাভ খুঁজে মরছি।
লাভ হলে স্ত্রী সন্তান, পরিজন কেউই প্রশ্ন তুলিনা। সকল অস্বাভাবিকতাকেই মনে হয় স্বাভাবিক। আমরাও কম মন্দ নই- যে লোকটা সাধ্যের অধিক রোজগার করে তাকে আমরা বিশেষ ভাবি। কারও মনেই প্রশ্ন জাগেনা, এত বিত্ত বৈভব কোথা থেকে, কিভাবে আসছে! ধরা পড়ে যাওয়াতে সবাই যাকে বেজায় দোষী ভাবছে, ধরা পড়বার আগে তার চুরি ডাকাতি- চুরি ডাকাতি ছিলনা, ছিল যোগ্যতা।
তার দোষগুলোর কারণেই তিনি সর্বত্র বিশেষ, ক্ষমতাবান হিসাবে পরিচিত ছিলেন। দেশে, সমাজে এবং পরিবারে দোষ করতে পারার মূল্য আছে, গুণের স্বীকৃতি, সন্মান কোনটাই নেই। যদি থাকতো এত অপকান্ডে আমাদের জীবন সয়লাব হতো না।
মানুষ যা পারেনি- বিদেশি একটা ছাগল খামারের মধ্যে ঘাস পাতা চিবোতে চিবোতে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো মানুষের ছাগলামো। প্রতিদিন ছাগলকাণ্ডের চর্চা আমাদের খুবই আনন্দদান করছে।
বাপ বলছে- সন্তান আমার নয়, সন্তান বলছে- বাপের পাপের বিচার চাই। সবাই লোকটার একার দোষ ভাবছি। লোকটাকে নিয়ে হা হা হি হি করছি সবাই। তিনি আমাদের সন্মানিতজন ছিলেন- অপমাণবোধ করছি না। এমন অনেককেই আমরা রোজই সন্মান দেখাতে কুঁজো হয়ে স্যার স্যার করি, সালাম ঠুকি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-