ডেস্ক রিপোর্ট :
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় চার ছাত্রলীগ নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন। সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে তারা মারা যান। এ ঘটনার পর ছাত্রলীগ হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটায়।
স্থানীয়রা জানান, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাণ্ডব চালান। ভাঙচুর করেন অ্যাম্বুলেন্স ও হাসপাতালের আসবাব। আগুন দেওয়া হয় হাসপাতালের গ্যারেজে থাকা একটি নতুন জিপ গাড়িতে। নেতাকর্মীরা কর্তব্যরত চিকিৎসককেও মারধর করেন। এমন অভিযোগের কথা স্বীকার করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সালাহ্উদ্দিন মিয়া।
Advertisement
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর প্রথমে নিয়ে আসা দুজনকে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক (ইএমও) হিল্লোল সাহা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর কিছুক্ষণ পর আরও দুজনকে নিয়ে আসা হয়। তখন আবেগাপ্লুত, ক্ষুব্ধু লোকজন তাণ্ডব ঘটান। দুই থেকে তিনশ লোক এমন তাণ্ডব ঘটানোর কারণে গুটিকয়েক পুলিশ কোনো ভূমিকা নিতে পারেননি।
তবে হামলা, ভাঙচুরের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে নাম প্রকাশ না করে ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, আমরা মুমূর্ষু সহযোদ্ধাদের সিলেটে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলাম। তারা অ্যাম্বুলেন্স থাকা সত্ত্বেও মারা গেছেন দাবি করে অ্যাম্বুলেন্স দেননি। তাই ক্ষুব্ধ লোকজন তাণ্ডব ঘটিয়েছেন।
ঘটনার ব্যাপারে জৈন্তাপুর থানা ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলতে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।
তবে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন যুগান্তরকে বলেন, যা ঘটেছে সবকিছুর ব্যাপারেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলাকারী, পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কী কী ত্রুটি আছে, তা খতিয়ে দেখা উচিত।
এদিকে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জৈন্তাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোববার তাদের ঘটনাস্থলে যেতে বলা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-