পেকুয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ, ৮শ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পেকুয়া প্রতিনিধি :

নির্বাচন বর্জনের দাবিতে কেন্দ্রীয় বিএনপির ৪৮ ঘণ্টা হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করার সময় কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ ৮শত জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে থানা পুলিশ।

রবিবার (৭ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনায় পেকুয়া থানার এস আই (নি.) ছৈয়দ সফিউল করিম বাদী হয়ে পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুটকে প্রধান আসামি করে ৩২ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে বিবাদী করে এজাহার দায়ের করেন। ওসি এজাহার পেয়ে মামলা রুজু করেন যার নং-০৬।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন ও আগের দিন উল্লেখিত আসামিরা হরতালে সমর্থনে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালানি অগ্নিসংযোগ করে এবং গাড়ী ভাংচুর চালায়। এছাড়াও পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে দুই পুলিশ সদস্য কে আহত করে এমনকি মানুষের যানমালের ক্ষতিসহ সরকারী কাজে বাধাঁ প্রদান করার অপরাধে এ মামলা দায়ের করে। মামলায় আসামী করা হয় পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট, পেকুয়া সদর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শাহ নেওয়াজ আজাদ এমইউপি, যুবদল নেতা সদর ইউপির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন এমইউপি, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাঈদী রহমান, শ্রমিক নেতা মনসুর আলমসহ ৩২ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে বিবাদী করা হয়।

উল্লেখ্য যে, ৬ জানুয়ারি সকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ডামি নির্বাচন আখ্যায়িত করে তা বর্জনের দাবীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত সকাল সন্ধ্যা ৪৮ ঘন্টা হরতালের সমর্থনে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় পিকেটিং এবং রাস্তায় টায়ারে আগুন চালিয়ে হরতাল পালন করছিল। এসময় বেশকয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। বিকাল ৫ টায় পেকুয়া সদর ইউনিয়নের সিকদারপাড়া এলাকায় যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুটের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা পিকেটিং করার সময় পেকুয়া থানার একদল পুলিশ তাদের উপর গুলিবর্ষণ করে ছত্র ভঙ্গ করে। এসময় যুবদল সভাপতি মুকুট, ছাত্রদল নেতা সাকিসহ বেশকয়েকজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াছ মামলা রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান।

আরও খবর