কাজী আবদুল্লাহ :
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) কক্সবাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কক্সবাজার জেলা শাখা ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু মোঃ মারুফ আদনান এর নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার বধ্যভূমিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এসময় কক্সবাজার জেলা ও আওতাধীন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মোঃ মারুফ আদনান বলেন ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের দিনটি সব সময় আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করে। পাকিস্তান আমলে যখনই পশ্চিম পাকিস্তান পূর্ব পাকিস্তানকে শোষণ করতো তখনই এ দেশের বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদ করতো। এসব কারণে কিন্তু ২৫ মার্চ কালরাত থেকেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা শুরু করে পাকিস্তানিরা এবং পুরো মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তাদের ধরে ধরে হত্যা করেছে। কোন একটি জাতিকে দাবিয়ে রাখতে হলে সে জাতিকে মেধাশূন্য করা প্রয়োজন। সে কারণেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি খান তার পরিকল্পনায় আমাদের দেশের দোসর আল বদর, আল শামস, রাজাকারদের সহায়তায় বুদ্ধিজীবীদের চিহ্নিত করে হত্যা করেছে। দীর্ঘ ৫২ বছরেও এই বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের এখনও বিচার করা সম্ভব হয়নি। নানান জটিলতার পরও আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পরে এ বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো যে সকল রাষ্ট্রগুলো মানবতার কথা বলে তারা এই হত্যাকারীদের তাদের দেশে আশ্রয় দিচ্ছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো, যারা একাত্তর এবং পঁচাত্তরে দেশের মানুষ এবং মানবতার বিরুদ্ধে কাজ করেছে তাদের যেন বিচারের আওতায় আনেন।’
উল্লেখ্য: ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস পরিকল্পিতভাবে এ দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-