থামছে না জামায়াত নেতা ছৈয়দুলের নেতৃত্বে ভূমিদস্যূ চক্রের তাণ্ডব

বার্তা পরিবেশক :

কক্সবাজার শহর ও আশে-পাশের এলাকায় ভূমিদস্যূ চক্রের তৈরি করে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব কোনভাবেই থামছে না।

সরকারি খাস জমি, বনবিভাগের পাহাড়ি জমি, ব্যক্তি মালিকানাধিন অবৈধভাবে দখল করে মোটা অংকের চাঁদা দাবি, হামলা-ভাংচুর চালিয়ে যাচ্ছে চক্রটি। যে চক্রের সাথে একটি প্রতারক সিন্ডিকেট রয়েছে। যারা নানাভাবে ভূঁয়া ও জাল কাগজ তৈরি করে এসব জমির মালিকানা দাবি নিয়ে তাণ্ডব অব্যাহত রেখেছে। আর এই পুরো চক্রের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে মহেশখালী উপজেলার জামায়াত নেতা ও শহরের বহুল আলোচিত ভূমিদস্যূ চক্রের গডফাদার ছৈয়দুল হক সিকদার।

একাধিক সূত্র বলছে, এক সময়ের জামায়াত নেতা ছৈয়দুল হক সিকদার গত ২০ বছর ধরে কক্সবাজার শহরে অবস্থান নিয়ে একটি ভূমিদস্যূ চক্র তৈরি করে। কলাতলীর বিভিন্ন পাহাড়ে সরকারী খাস ও বনবিভাগের পাহাড়ি জমি অবৈধ দখল করে একাধিক বসতঘর তৈরি করে এই ভূমিদস্যূটি তাদের অবৈধ দখল শুরু করে। আর অবৈধ এসব বসতঘরের ভাড়াটিয়া হিসেবে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের এনে জড়ো করা হয়। এই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরাই চক্রটির অপকর্মের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। পাহাড় কাটা, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করার জন্যই জামায়াত নেতা ছৈয়দুল হক এদের আশ্রয়-পশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে।

অনুসন্ধান বলছে ছৈয়দুল হকের কারণে আদর্শগ্রাম, টিএনটি পাহাড়সহ কলাতলীর বিভিন্ন পাহাড়ী এলাকাতে একাধিক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, ভূমিদস্যূ চক্রটির সাথে ভূমি অফিসের এক শ্রেণীর কর্মচারিদের সাথে রয়েছে সখ্যতা। যারা চক্রটি ভূঁয়া ও জাল দলিল তৈরি করে টার্গেট দখল করে চাঁদা দাবিতে সহায়তা করে যাচ্ছে। যার সূত্র ধরে সর্বশেষ ১ ডিসেম্বর সকালে চক্রটি কলাতলীর জমজম হ্যাচারি সংলগ্ন এক বীর মুক্তিযোদ্ধার ৪৭ শতক জমি প্রকাশ্যে দখল করে নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে আদালতে মামলার করেছে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। আদালতে এ অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য আদেশও দিয়েছেন।

ডিসেম্বরে এসে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলকে কেন্দ্র করে শহরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ওই পরিবারের অভিযোগ, জামায়াত নেতা ছৈয়দুল হক তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। তা না দেয়ায় জমিটি প্রকাশ্যে দখল করে নেন। যেখানে রোহিঙ্গা সহ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ভারী অস্ত্র নিয়ে পাহারাও দিচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার এক যুবক বলেন, ছৈয়দুল হক জমিটি দখল করার পর থেকে ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে আতংক তৈরি করেছে। গড়ে তুলেছে মাদকের আখড়াও। ফলে কলাতলী এলাকার সামাজিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে ছৈয়দুল হক সিকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

##

আরও খবর