উখিয়ার শীর্ষ মাদক কারবারি ও হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণে জনমনে স্বস্তি!

আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল :

কক্সবাজারের উখিয়ায় মাদক সম্রাট ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি মনিরুল ইসলাম (৩৮) কে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণের খবরে এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে ।

আটক মনিরুল ইসলাম (৩৮) ওই এলাকার জবর মুল্লুকের ছেলে ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত শীর্ষ ইয়াবা কারবারি মোস্তাক ও মোক্তারের আপন ছোট ভাই ।

বর্তমানে সে “একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাঠকর্মী হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। সে ওই চাকরির আড়ালে মায়ানমারের কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি রোহিঙ্গা নবী হোসেনের আঁতাত করে দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা কারবার করে আসছিলো এবং মনিরের বিশাল বাহিনীর হাতে এলাকাবাসী জিম্মি ছিলো। তার বাড়ি সীমান্তবর্তী হওয়াতে বিশেষ বাহিনী ব্যবহার করে মাদক সাম্রাজ্য গড়ে তোলে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যায়। বিভিন্ন সময় তার মাদকের চালান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ায় বিভিন্ন মামলা আসামি হলেও পার পেয়ে যায় সে। এর আগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তার আপন দুই ভাই বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।

এদিকে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি মনির আটকের খবরে তার তার বাহিনীর অনেকে গা-ঢাকা দিয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মনির একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাঠকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালনের নামে দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় মাদক দ্রব্য পাচারের ব্যবসা করে আসছেন। এতে এলাকার যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিপথগামী হচ্ছেন এবং অভিভাবকগণ তাদের সন্তানদের নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে। তার গ্রেফতারে এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা একজন দুর্ধর্ষ মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করার জন্য বিজিবি ও উখিয়া থানা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তারা পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমার থেকে এসব মাদকদ্রব্য জেলার বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছে। এতে এ অঞ্চলের যুব সমাজসহ স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত এ মাদক সেবনে জড়িয়ে পড়ছে।

তাই মনিরের সাথে জড়িত অন্যান্য মাদক কারবারি এবং মাদকে সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের জঘন্যতম কাজে যেন জড়াতে না পারে সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন

উল্লেখ্য, আটক মনিরের ছোট ভাই শেফু গত এক বছর ধরে বার্মাইয়া নবী হোসেনের সাথে আঁতাত করে বিভিন্ন অপকর্ম ও মাদক এবং স্বর্ণ চালান নির্বিঘ্নে করতে নবী হোসেনের ডেরায় থাকে এবং সে মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন মাদক ও স্বর্ণ তার ভাইয়ের কাছে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। তাই তাকে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের প্রতি আকুল আবেদন জানিয়েছেন এলাকাবাসী

আরও খবর