আবু সায়েম, কক্সবাজার :
র্যাবের অভিযানে মামলা দায়েরের ৩৬ ঘন্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান ও একমাত্র আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
২০ নভেম্বর ( সোমবার) র্যাব – ১৫’র একটি আভিযানিক দল কক্সবাজারের টেকনাফ থানাধীন নয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে শাহ আমানত ( ১৯) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি শাহ আমানত টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়া এলাকার মনু মিয়ার পুত্র।
টেকনাফ থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায়, উখিয়া থানাধীন জনৈক মোঃ শফিউল আলম এর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে গত ০৭ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে তার মেয়েকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া এবং বিবাহের প্রলোভনে দেখিয়ে টেকনাফের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং-৩২, তাং ১৭/১১/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা-৯(১) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধিত ২০২০)।
র্যাব জানায়, টেকনাফ থানায় দায়েরকৃত এজাহারের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর বর্ণিত আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বর্ণিত মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান ও একমাত্র পলাতক আসামী শাহ আমানতকে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন নয়াপাড়া এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব আরো জানায়,প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী বর্ণিত মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী এবং গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে অবস্থান করছিল বলে স্বীকার করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ল এন্ড মিডিয়া) মোঃ আবু সালাম চৌধুরী জানান, র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকার অপরাধ নির্মূলে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে চলেছে। দায়িত্বাধীন এলাকায় হত্যা, অপহরণ, জঙ্গী, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, জলদস্যু, ডাকাত, চুরি-ছিনতাই, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ও ধর্ষণসহ দেশে বিরাজমান নানাবিধ অপরাধ দমনে আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-