বার্তা পরিবেশক :
উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেদুল করিম সিকদারের বিরুদ্ধে গর্ভধারিনী মা’কে নির্যাতন, এলাকার মেম্বারকে মারধর, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটের ব্যালট বাক্স চুরির মামলা, এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম, মাদকসেবন, বাড়ির জিনিসপত্র চুরি ও ভাঙচুর, এলাকায় নানা অপকর্ম সহ সীমাহীন অপরাধের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করা হলেও অদৃশ্য শক্তির বলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন রাসেদুল করিম সিকদার। তার অপকর্মের সংবাদ প্রচার করার পর সংবাদ বন্ধ ও অপকর্মের কারণ দর্শানোর নোটিশ ঠেকাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তিনি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাসেদুল করিম সিকদার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড করে আসছে। তার অপরাধের কিছু হাল চিত্র অনুসন্ধানে উঠে আসে।
সম্প্রতি মাদকের টাকা না দেওয়ায় তার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মা। ঘটনাটি গত (২৮ অক্টোবর) শুক্রবার রাতে তাদের বাসায় ঘটে। এসময় গর্ভধারিণী মা’কে ছুরিকাঘাত ও মারধর করে জখম সহ মাথার চুল কেটে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আহত তার মা রোকেয়া খানমকে উদ্ধার করে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। অভিযুক্ত রাশেদুল করিম সিকদার কর্তৃক বার বার নির্যাতনের শিকার হওয়া আপন মা কে নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে তার পরিবার।
তার পরিবারের দাবী, সে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আরও বেশী বেপরোয়া হয়ে যায় এবং তাকে মাদকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতকারী ধরনের ছেলে নিয়ে হামলা করে তার মা কে। এমনকি মাদকের টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকিও প্রদান করে। স্থানীয়ভাবে কয়েকবার বিষয়টি সমাধান করে দেওয়া হলেও রাশেদের এমন অমানবিক নির্যাতন তাদের ভাবিয়ে তুলছে বলে জানান। পরিবারের এমন অবাধ্য ছেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান স্থানীয়রা।”
জানা যায়, তার পিতা বেঁচে থাকা তাকে নেশার টাকা না পেয়ে তাকে(বাবাকে) মারধরের অভিযোগে তাকে থানায় সোপর্দ করেন বাবা ফজল করিম সিকদার। পরবর্তীতে তৎকালীন উখিয়া থানার ওসি আবুল খায়েরের সাথে তার আপন বড়ভাইয়ের মধ্যস্থতায় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান রাশেদ। এরপর থেকে রাশেদ কিছুদিন ভালো থাকলেও পরবর্তীতে পুণরায় নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে স্থানীয় মেম্বারকে মারধর, ভোটের ব্যালট বাক্স চুরির মামলা, এলাকায় কিশোর গ্যাং তৈরি, মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছে তার পরিবার।
তার বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে একাধিক মামলাও রয়েছে। এদিকে তার পদ বাতিলের দাবীতে জেলা ও উপজেলা এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, মা বাদী হয়ে অভিযোগ দেওয়ার পর পরই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলেও ১৩ দিন পরেও কোনো উত্তর দেয়নি রাসেদুল করিম সিকদার।
তাই সচেতন মহল বলছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা রাসেদুল করিম সিকদারের নামে একাধিক আভিযোগ থাকলেও এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব না দেওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত রহস্য জনক করণে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থায় গ্রহণ করা হয়নি। বরং সে স্বপদে বহাল তবিয়তে থেকে দ্বায়িত্ব পালনের নামে অপকর্ম করে আসছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-