ঢাকায় নাশকতার অভিযোগে কক্সবাজারে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক :

ঢাকায় নাশকতার অভিযোগে কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫।

রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতার অপরাধে ৪টি মামলা রয়েছে।

র‌্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রাজধানীর নয়াপল্টনে নৈরাজ্য ও নাশকতা এবং হামলার ঘটনায় সরাসরি অংশগ্রহণ করে নোমান। ওইদিন ঢাকায় হামলা-ভাঙচুরে আহতও হয় সে। ভারতের শিলংয়ে অবস্থানরত সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদের নির্দেশে ঢাকা ছাড়াও কক্সবাজার শহরে নাশকতায় জড়িত হয় এই নোমান।

তিনি আরও বলেন, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য নোমান স্থানীয় নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে। সে বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের দেশ ও বিদেশে অবস্থানরত নেতাদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের সাহায্যে যোগাযোগ করে তাদের নির্দেশনায় নাশকতার পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ২৮ অক্টোবরে নয়াপল্টনে জ্বালাও-পোড়াও, পুলিশ হাসপাতালে হামলা-অগ্নিসংযোগ, যানবাহন ভাঙচুরসহ পুলিশের উপর আক্রমণে অংশ নেন। একপর্যায়ে তার সহযোগীদের ছোঁড়া হাতবোমা বিস্ফোরিত হয়ে তার মাথার পেছনের অংশে ৪টি স্প্রিন্টার বিদ্ধ হলে সে রক্তাক্ত ও আহত হয়। পরবর্তীতে কক্সবাজার ফিরে স্থানীয় ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে সে চিকিৎসা গ্রহণ করে। বিভিন্ন মিডিয়াতে সেদিন তার নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও নিজেদের বোমায় রক্তাক্ত ও আহত হওয়ার ফুটেজ পাওয়া যায়। এর সূত্র ধরেই নোমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৯ অক্টোবর থেকে কক্সবাজার শহরে যেসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে, আব্দুল্লাহ আল নোমান সেগুলোতেও উপস্থিত থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। নোমানকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, আন্দোলনে করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা নিতে চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতের শিলং এ অবস্থানরত চকরিয়ার বিএনপির সাবেক এক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর কাছে যায়। মূলত ওই সাবেক সংসদ সদস্যের নির্দেশনাতেই সে এবং তার সহযোগী নেতাকর্মীরা ঢাকা ও কক্সবাজারে চলমান জ্বালাও-পোড়াও, নাশকতা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

নোমানকে কক্সবাজার সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরও খবর