নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের গহীন পাহাড়ে ৬নং রাবার প্লট নামক স্থান থেকে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম শহিদুল ইসলাম (৩০)। সে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড করলিয়া মুরা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। সে পেশায় দিন মজুর বলে মৃত যুবকের চাচা মো. আলম জানান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় রাবার বাগানের শ্রমিকেরা ২২ অক্টোবর রবিবার ভোরবেলা রাবারের কষ সংগ্রহ করতে যাওয়ার সময় ৬নং রাবার বাগানের মাঝখানে পাহাড়ের চলাচল পথে লাশ দেখতে পেয়ে প্রথমে তারা বাগানের সুপারভাইজার হিরোকে জানালে ঘটনাটি তিনি ম্যানাজারকে মোবাইল ফোনে অবহিত করেন।
ম্যানাজার আল আমিন বিষয়টি নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক টান্টু সাহাকে মোবাইল ফোনে জানালে তিনি বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সাব ইনস্পেক্টর নুরুল্লাহ ভূইয়াকে ঘটনাস্থলে পাঠান।
বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই নুরুল্লাহ ভূইয়া জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ সুরতহাল করেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার শরীরের আঘাত ও দেশীয় তৈরি অস্ত্রের গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে মেডিকেল রিপোর্টে সব কিছু জানা যাবে।
নিহত যুবকের চাচা শাহাবুদ্দিন জানান, রাত ৯টা পর্যন্ত সে এলাকাতে ছিল। হয়ত গভীর রাতে তাকে পাহাড়ে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাইশারী ইউনিয়নের গহীন পাহড়ে যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে শত শত মানুষ ভীড় জমায়। লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতসহ গুলির চিহ্ন রয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।পরিবারের পক্ষ থেকে নিহতের চাচা বাদী হয়ে মামলা করবেন ও দোষীদের শাস্তি দাবি করছেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ পরিদর্শক টান্টু সাহা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধারপূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্তপূর্বক দোষীদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনো মামলা হয়নি তবে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-