আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল •
উখিয়ায় সিএনজি-বাস সংঘর্ষে উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সিএনজি চালক নিহত হয়েছেন। এসময় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
১২ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ১০ টা ৪০ মিনিটের দিকে উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হিজলীয়া নামক স্টেশনে এ দূর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন, উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের খয়রাতি পাড়া এলাকার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে সিএনজি চালক জাকির আলম (৫০) ও কুষ্টিয়া সদরের নিহিংশ এলাকার আবদুর রাজ্জাকের ছেলে জহুরুল হক (৪৮)। তিনি উখিয়া উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্বে ছিলেন। এ ঘটনায় আহতদের উখিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন, কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের মমিনুল হকের পুত্র উখিয়া এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল হক মজুমদার (৪২), বালুখালী ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মোহাম্মদ হাশিম (৩৯) তার দেড় বছর বয়সী ছেলে মো. রিয়াজ ও তার স্ত্রী নুর কায়েস (৩২)।
শাহপুরী হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ৪০ মিনিটের দিকে হিজলিয়া স্টেশন থেকে একটি সিএনজি ঘুরিয়ে উখিয়ামুখী হওয়ার প্রাক্কালে আরেকটি সিএনজির সাথে ধাক্কা লাগলে কক্সবাজারমুখী বাসের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে এক সিএনজি যাত্রী নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের তাৎক্ষনিক উখিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সিএনজি চালক জাকির আলমকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহতদের লাশ উদ্ধার উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে হাইওয়ে পুলিশ জানায়।
এদিকে, উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. রোকনুজ্জামান খান সহকর্মীর লাশ গ্রহণ করে তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান। এ তথ্য জানানোর সময় তিনি অঝোরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এসময় অশ্রুসিক্ত নয়নে তিনি বলেন, উখিয়া অফিসে এক অক্টোবর যোগদান করেছেন।
তার ছোট ছোট তিনটি বাচ্চা রয়েছে ভবিষ্যৎ কি হবে তার পরিবারের? একজন সহকর্মীকে এভাবে হারাতে হবে যা আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-