নিজস্ব প্রতিবেদক •
কক্সবাজারের উখিয়ার কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির লিমিটেডের সাবেক সদস্য রনজিত বিশ্বাসের মৃত্যুর পরবর্তী শেয়ার ও সঞ্চয়ের ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯০ টাকার চেক নমিনি তার স্ত্রী শেলী বিশ্বাসের নিকট হস্তান্তর করেছেন সমিতির নেতৃবৃন্দরা।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির লিমিটেডের অফিসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ চেক হস্তান্তর করা হয়।
কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির সিনিয়র সদস্য রনজিত বিশ্বাসের বড়ভাই নেপাল বিশ্বাস, সিনিয়র সদস্য শাহাদাত উল্লাহ কামাল, সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল আজিজ, রাজীব বিশ্বাস, রাসেল বিশ্বাস, বুলেট বিশ্বাস।
সমিতির নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি মো. হাসেম, পরিচালক আমিন উল্লাহ ভুট্টো, শরিফ মাহমুদ শাহজাদা, মহিউদ্দিন সুমন, আবুল মনজুর, মাহমুদুল হক।
এসময় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, প্রয়াত রনজিত বিশ্বাস একজন ভালো মনের অধিকারী ও সৎ ব্যবসাসী ছিলেন। কিন্তু তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। তাই সমিতির নিয়মানুযায়ী তার সঞ্চিত অর্থ তার নমিনির কাছে বুঝিয়ে দেওয়া আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। আজ তার মৃত্যু পরবর্তী তার শেয়ার ও সঞ্চয়ের টাকা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে পেরেছি।
সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম বাবুল প্রয়াত রনজিত বিশ্বাসের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমাদের সমিতিতে রনজিত বিশ্বাস তিনি খুব নির্ভীক মনোভাবের মানুষ ছিলেন। তিনি সমিতির থেকে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে বিনিয়োগ নিয়েছিলেন কিন্তু কখনোই সমিতির টাকা বকেয়া রাখতেন না। যথাসময়ে সমিতির টাকা পরিশোধে তৎপর থাকতেন এবং কোনো সময় সঞ্চয়ের টাকা তুলতে আমাদের কর্মী যেতে না পারলে তিনি ওই টাকা প্যাকেট করে রাখতেন পরবর্তী দিনে দেওয়ার জন্য।
সমিতির সভাপতি বাবুল আরও বলেন, তিনি তার ব্যবসায়ীক সময়ে সমিতিতে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯০ হাজার টাকা সঞ্চয় করেছিলেন। যা আজ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি এবং তিনি সমিতি থেকে বিনিয়োগ নেওয়ার সময় যে চেক জমা দিয়েছিলেন তা ফেরত দেওয়া হয়েছে পাশাপাশি সর্বোচ্চ সঞ্চয় জমাকারী হিসেবে তার পরিবারের কাছে ক্রেস্ট প্রদান করেছি।
চেক গ্রহণকালে অনুভূতি ব্যক্তকালে প্রয়াত রনজিত বিশ্বাসের স্ত্রী শেলী বিশ্বাস বলেন, আমার স্বামী ইহকালের মায়া ত্যাগ করে পরলোকে চলে গেছেন। তিনি আমাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি হওয়ায় তার মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে আমাদের পরিবারের অবস্থা দূর্বিষহ হয়ে পড়েছিলো।
কিন্তু এমতাবস্থায় কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির লিমিটেডে সঞ্চয়ের টাকার আবেদনের সাথে সাথে সভাপতি-সম্পাদক আমাদের পাওনা বুঝিয়ে দিয়েছেন। যার জন্য আমি সমিতির নেতৃবৃন্দের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি পাশাপাশি সমিতির সফলতা কামনা করছি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-