চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

সিবিএন:

উখিয়ার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

নুরুল আমিন (৪০) নামক এক ব্যক্তি চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেন। যার মামলা নং-৫৩১/২০২৩।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, পেকুয়া বাগগুজারা নন্দীরপাড়া এলাকার মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে শিল্পী জসিম উদ্দিন (৪৫), চকরিয়ার জনৈক ফারজানা (২৭), ভুট্টু চৌধুরী (ফেসবুক আইডি), থাইনখালী ৫ নং ওয়ার্ডের হাকিমপাড়ার শুক্কুর মিস্ত্রীর ছেলে আবু ছৈয়দ (৩০), মোহাম্মদ নেজাম এম (ফেসবুক আইডি), থাইনখালী উত্তর রহমতের বিল এলাকার নুরু সওদাগরের ছেলে বাবুল প্রকাশ বাবুল ড্রাইভার (৪০)। মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক।

বাদি বালুখালী ধামনখালী এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে।

নুরুল আমিন জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে থাইনখালী স্টেশনের ব্রিজের দক্ষিণে অনন্দ উৎসবের নামে চরম বেহায়াপনা ও অশ্লীল গান-নৃত্য আয়োজন করেন গফুর উদ্দিন। সেখানে শিল্পী জসিম উদ্দিন ও ফারজানা অশ্লীল অঙ্গ ভঙ্গির নৃত্যের মাধ্যমে তার স্ত্রী, কন্যার নামে চিৎকার দেয়। অশুভন ও অসহনীয় অঙ্গভঙ্গী প্রদর্শন করে।

চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরীর ইন্ধনে নিজের কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে অশ্লীল ভাষা প্রকাশ করে। যা ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করে বলে জানান নুরুল আমিন।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় পরিবেশিত গানের প্রথম কলি-“ওরে পালংখালীর জনগণ আই তোয়ারারে হই, ঘোড়ার ঠেলায় নুরাইয়া মৌ গাইন অই গিয়েগই।” অর্থাৎ “পালংখালীর জনগণ তোমাদের বলি, ঘোড়ার সহবাসে নুরু মামা গর্ভবতী হয়েছে।” এছাড়া তার মেয়ের ছবি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়। মাইক দিয়ে অশ্লীল ও নোংরা ভাষায় যৌন উদ্দীপক কথাবার্তা বলে উত্যক্ত করে। এই গানেরকারণে সামাজিক, পারিবারিক ও ব্যবসায়িক সম্মান ক্ষুন্ণ হয়েছে দাবি করেন নুরুল আমিন।

ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী চেয়ারম্যান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা নিতে বিব্রতবোধ করে থানা কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, গেল নির্বাচনে চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরীর প্রতীক ছিল ঘোড়া। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী আবদুল মালেকের পক্ষে কাজ করেন মামলার বাদি নুরুল আমিন। সেই কারণে তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছিল। ইতোমধ্যে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে, জানিয়েছেন নুরুল আমিন। ঘটনার সঠিক প্রতিকার চান তিনি।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নির্বাচন গেছে প্রায় ২ বছর হলো। এখন কেন মামলা?

বিভিন্নজনের ফেসবুক আইডিতে দেখতেছি, আমার বিরুদ্ধে আবারো মামলা। তা কি নিয়ে মামলা করেছে, এখনো অবগত নই। বিভ্রান্ত না হয়ে সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ করছি।

আরও খবর