বার্তা পরিবেশক •
গত ৮ আগষ্ট প্রকাশিত ” উখিয়ায় শত বছরের জানাযার মাঠ ও জায়গা দখলের অভিযোগ ” শীর্ষক সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উল্লেখিত সংবাদের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত।
প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রতিবাদকারীগণ জানান, মূলত উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাঁ পালং মৌজার আর.এস ৪৬২ ও ৪৪৮ নং খতিয়ানের আর.এস ৫২০ নং দাগের ৪.২৩ একর প্রায় ১১ কানি ভূমির মালিক ছিলেন রুমখাঁ চৌধুরী পাড়ার এসাদ আলী চৌধুরী ও মো: আলী চৌধুরী এবং আবদুল আলী চৌধুরী।
উপরে উল্লেখিত মহান ব্যক্তিগণ উক্ত ৪.২৩ একর ভূমির অধিকাংশই চৌধুরী পাড়া কবরস্থান এর জন্য দান করে গেছেন।
এছাড়া মৃত জোবাইর আহমদের পুত্র নাসির উদ্দিনের বসত বাড়ির পশ্চিমে ১৫ শতক ভূমি নিয়ে একটি জানাজার নামাজ পড়ার জায়গাও উক্ত জমির আন্দর আছে। কবরস্থান ছাড়া প্রায় ৪ কানি জমি আছে, কিছু নাল আর কিছুতে ৫/৬টি বসত বাড়ি আছে। বি.এস জরিপকালে ভুল বশত নাল বলে পুরো জমির ৪.২৩ একর খাস হয়ে পড়ে।
পরে আমরা আরএস মালিকের ওয়ারিশরা তা জানতে পেরে কবরস্থানের জমি কবরস্থানের জন্য ঘোষণা করে বাদ বাকী ভূমি ওয়ারিশ মালিকদের স্বত্ব ঘোষণার জন্য কক্সবাজার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে অপর ৬২/২০২১ নং উচ্চারণের মোকাদ্দমা দায়ের করি। যা বর্তমানে চলমান আছে।
উল্লেখ্য যে, আরএস ৫২০ নং দাগের বি.এস দাগ ৫৫৮ নং। উক্ত আরএস ৫২০ নং দাগের জমি কেউ কিনে থাকলে আমরা দিয়ে দিতে বাধ্য অথবা উক্ত চলমান মামলায় স্বত্ব দাবী করতে পারবে কিন্তু বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ কেউ পাবে না।
কিন্তু রুমখাঁ চৌধুরী পাড়ার হাজীর পাড়া এলাকার মামলাবাজ লোক নুরুল হক ও তার ছেলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক ইয়াবা ব্যবসায়ী করার কারণ কালো টাকা দাপটে নানা অন্যায় করে যাচ্ছে।
যে কবরস্থান নিয়ে কথা উঠেছে সেই কবরস্থানেই ওই নুরুল হকের পিতা মো. হারেস ও মা সবুরা খাতুনের মৃত্যুর পর দাফন করা হয়।
অথচ নুরুল হক বারবার কবরস্থানের ও ভূমি বন্দেবস্তি পাওয়ার জন্য ডিসি ও ইউএনও বরাবর আবেদন করে ব্যর্থ হয়ে উল্টো ক্ষীপ্ত হয়ে খারাপ লোকের পরামর্শে কবরস্থান ও আমাদের জমির বিরুদ্ধে শত্রুতা করে আসতেছে এবং নিরাপরাধ লোকের বিরুদ্ধে নিজে ও লোক নিয়োগ করে মামলা করে চলছে আদালত ও থানায়।
গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জেলা পরিষদের অর্থায়নে ও আমাদের সহযোগীতায় কবরস্থানের হেফাজতের জন্য দেওয়াল দিলে উক্ত কবরস্থানের ২১ কড়া জমি দাবী করে নুরুল হক বাদী হয়ে মির আহমদ প্রকাশ গুনা মিয়া, দানু মিয়া, মৌলভী আমির হোছাইন সহ ৮/১০ জনের জন্য এম.আর মামলা দায়ের করে। যার নং: ১০৮৩/২০২০।
পরে তৎকালীন ইউএনও নিজাম উদ্দিন বিষয়টি তদন্ত করে রিপোর্ট দিলে উক্ত মিথ্যা মামলা বাতিল হয়ে যায় ২২/১০/২০২১ ইং তারিখে।
এছাড়াও মৃত মো. হারেসের পুত্র নুরুল হক ২১ কড়া কবরস্থানের জমি দাবী করে তার স্ত্রীকে মির আহমদ প্রকাশ গুরা মিয়া ধর্ষণ করেছে ও মৌলভী আমির হোছাইন তার ভাইজীকে ধর্ষণ করেছে বলে মিথ্যা ভাবে কোর্টে ২৫৬/২০২১নং মামলা দায়ের করেছেন।
এতেও ক্ষান্ত না হয়ে এই নুরুল হক ওই অপরাধে ধারাবাহিকতায় আমরা আর.এস ৫২০ দাগের মালিকরা বর্তমানে কবরস্থান হেফাজত সহ আমাদের স্বত্বীয় জমি রক্ষা ও উন্নয়ন করতে থাকলে এলাকায় মৃত মির জাফরের পুত্র মরিচ্যা জে.এস.আর এর কর্মচারী মো. আবছার নামক এক লোক কে বাদী বানিয়ে আমাদের আর.এস ৫২০ নং দাগের খতিয়ান ও দাগ জালিয়াত করে তৎ আর.এস ৫২৭ ও ৭৭৩ নং দাগের জমি আর.এস ৫২০ নং দাগে দাবী করিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে সি.আর ৫১১/২০২৩ নং অপর মামলা করান। অথচ আর.এস ৫২৭ ও ৭৭৩ নং দাগের জমি নিয়ে জহির আহমদ নামক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। যার মামলা নং- ৫২০/২০২১ উখিয়া সহকারি জজ আদালতে মির জাফরের পুত্র মোঃ আবছারের নামে। এতে তার বিবাদী নং ১৪ হয়।
উক্ত মো. আবছার আর.এস ৫২৭,৭৭৩ নং দাগে স্বত্ব থাকলে উক্ত মামলায় তা পাবে এতে আমাদের কোন আপত্তি নাই ।
এছাড়াও নুরুল হক বিগত ০৫/১২/২০২০ তারিখ উক্ত কবরস্থানের বামে মাটি কেটে নিজ বসতভিটার পুকুর ভরাট করলে ১০/১৫ টি কবর অরক্ষিত হয়ে পড়লে এলাকার ১৪১/১৪০ জন লোক নুরুল হকের বিরুদ্ধে ডিসি বরাবর আবেদন করেন ১৩/১২/২০২০ তারিখ ।
তৎকালীন ডিসি তা এসিল্যান্ড উখিয়াকে বিচারের দায়িত্ব প্রদান করে ১৯/০১/২০২১ তারিখে। যার স্বারক নং ০৫.২০.২২০০,১২৮.২০.০০২.১৬.৩২ ।
পরে উক্ত নুরুল হক ১৮/০৯/২০২২ তারিখ কবরস্থান মাঠি আবার কাটলে এবং দেওয়াল ভেঙ্গে ফেললে তার বিরুদ্ধে ২১/১০/২০২২ ইং উখিয়া থানায় অভিযোগ করা হয়।
পরে সে আলহাজ্ব মাহমুদুল হক চৌধুরীর নিকট এর জন্য ক্ষমা ও আর কোনদিন কবরস্থানের ক্ষতি করবেনা বলে ওয়াদা করলে সে মাফ পেয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটি ও কবরস্থান কমিটির রেজুলেশন আছে।
তাই মসজিদ মাদ্রাসার ব্যাপারে দেওয়া জমি দুষ্টু বিড়াল নুরুল হকের কারণে যেনো আমরা ফেরত নিতে বাধ্য না হয় এবং অনুরোধ করছি নুরুল হকের ফাঁদে পা না দেওয়ার।
সুতরাং বলা যায়, জানাযার মাঠ দখল ও কবরস্থানের জায়গা দখলের নামে নুরুল হক যে বক্তব্য ও সংবাদ ছাপিয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া। যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা। তাই আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি।
পাশাপাশি তার বিভ্রান্তকর সংবাদ মিথ্যা সংবাদের প্রতি তীব্র নিন্দা ও জোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদটি এলাকাবাসী, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী :
মো. আবদুল গফুর, মো. ঈসমাইল, নুরুল আমিন, হারুণর রশিদ, মো. রফিক, সাইফুল ইসলাম, ফেরদৌস আলম, হারুণর রশীদ, শহিদ উল্লাহ, শাহাব উদ্দিন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-