চট্টগ্রাম •
বাঁশখালীতে পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে সম্মতি না দেওয়ায় বৃদ্ধ পিতাকে হত্যা করেছে ছেলে এনামুল হক (২০)।
গতকাল শুক্রবার এনামুলকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে সে এ তথ্য জানায়। তবে পরে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে বলেছে, মনোমালিন্যের কারণে ঘুমন্ত বাবাকে কুপিয়ে খুন করেছে সে। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার পুঁইছড়ি ইউপির পূর্ব পুঁইছড়ি মাইজপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মো. বাদশা (৬০) ওই এলাকার বাসিন্দা।
তিনি স্থানীয় বাজারের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ছিলেন। শুক্রবার সকালে শয়নকক্ষ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার জানান, একরামুল পুলিশকে জানায় তাঁর পছন্দের মেয়েকে বউ করে বাড়িতে আনতে অসম্মতি দেন বাবা। এ নিয়ে একরামুলকে তাঁর বাবা বকাও দেন। এর জেরে বৃহস্পতিবার রাতে বাবাকে হত্যার পর তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও টাকার ব্যাগ ঘরে লুকিয়ে রেখে চুরির নাটক সাজান। পরে একরামুল পাশের কক্ষেই ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে রক্তাক্ত মরদেহ দেখে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘর থেকেই মোবাইল ফোন ও টাকার ব্যাগ উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছেলেকে আটক করে।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দীন জানান, মোহাম্মদ বাদশা গ্রামে ডেকোরেটরের ব্যবসা করতেন। এনামুল তার বাবার সঙ্গে ব্যবসায় সময় দিতেন। নানা বিষয়ে এনামুলকে বকাঝকা করতেন তার বাবা। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন এনামুল।
পরে বৃহস্পতিবার রাতে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন এনামুল। সেসময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন।
খবর পেয়ে আনোয়ারা সার্কেলের এএসপি (সহকারী পুলিশ সুপার) কামরুল হাসান ও বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিনসহ তদন্তকারী পুলিশ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ সময় ছেলে এনামুলের কথাবার্তায় অসংলগ্ন মনে হলে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে পিতাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বাদশার ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ে রয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-