মিঠাছড়িতে নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারির মুখরোচক পণ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক •


কক্সবাজারের রামুর মিঠাছড়ি এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বন, বাটার বন, বিস্কুট সহ বেকারির নানান রকমের পণ্য। আর এসব পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে নোংরা ও ভেজাল তেল।

সরেজমিনে দেখা যায়, পাবনার হাসান খাঁনের বেকারিতে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে। খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণেও রয়েছে চরম অব্যস্থাপনা। এছাড়াও পণ্য রাখার ঘর যেমন অপরিষ্কার। পোকামাকড়েও ভরপুর। রাতদিন চলে অস্ব্যাস্থকর ও নোংরা পরিবেশে বিভিন্ন আইটেমের নাস্তা ও খাদ্যদ্রব্য তৈরী। পুড়া, বাসী তৈল, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ক্যামিকেল মিশিয়ে পাউরুটি, বিস্কুট, চানাচুর, ইত্যাদি তৈরী করে রামুর ও কক্সবাজার সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে নাামি দামি দোকানে প্রতিনিয়ত সরবরাহ করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ কলাতলি বেইলী হ্যাচারী সংলগ্ন এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব নাস্তা তৈরির কারণে প্রশাসনের নজরে আসলে জরিমানাসহ নাস্তার কারখানা সিলগালা করে দেওয়ায় হাসান সুকৌশলে মিঠাছড়ি এলাকায় এই কারখানা তৈরি করে আবারো ব্যবসা চালু করেছে। সে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দিনের পর দিন মানুষের ক্ষতি করে যাচ্ছে। উক্ত খাবার খেলে মানবদেহের বিভিন্ন ধরনের রোগব্যধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সচেতন মহলের দাবি, শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করে উক্ত অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

এছাড়াও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের ব্যাপারে জানা নেই তাদের। অনুমোদনহীন খাবারের সঙ্গে বেকিং পাউডার, ইষ্ট ও অ্যামোনিয়াসহ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বেকারীর প্রধান কারিগর , নানা অযুহাত দেখিয়ে মালিকের সাথে কথা বলার অনুরোধ জানান।

এই বিষয়ে হাসান বেকারির স্বত্বাধিকারি মো. হাসান খান বলেন, কক্সবাজারে শুধু আমি না, অনেকেই এভাবে বেকারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি অনেককে টাকা দিয়ে আমার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি দাম্ভিকতার সুরে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যতই লিখালিখি করুন, এতে কোনো কাজে আসবেনা।

এই বিষয়ে বিএসটিআই উপ-পরিচালক মিঞা মো. আশরাফুল আলম বলেন, এই রকম অনুমোদনহীন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি কারখানা বেকারি গুলোর বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।