টেকনাফে ৮ বছরের শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন

বিশেষ প্রতিবেদক •

হত্যার দেড় মাস পড় টেকনাফে ৮ বছরের শিশু ওবাইদুল্লাহ নোমান হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ভোরে উখিয়া থানাধীন ইনানী এলাকা থেকে নোমানের মা আফিয়া বেগমকে (২৮) গ্রেপ্তারের পর ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দীতে হত্যার দোষ স্বীকার করেছেন তিনি।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, ৩ বছর পূর্বে আফিয়া বেগমকে ডিভোর্স দেন ওবাইদুল্লাহ নোমানের বাবা সৈয়দ আলম।

টেকনাফ উপজেলার উপকুলীয় ইউনিয়ন বাহারছরায় পাহাড় ঘেরা একটি গ্রাম দক্ষিণ শীলখালীতে স্বামী সৈয়দ আলমের দেয়া ছোট একটি কুঁড়েঘরে দুই শিশুপুত্র ওবাইদুল্লাহ নোমান ও মাহিমকে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি। পরিবারে অভাব অনটনের সুযোগে আফিয়া বেগমের সাথে মোবাইলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে আনোয়ার নামের একজন।

গত ৩ জুলাই রাতের খাবার শেষে মায়ের সাথে ঘুমিয়ে পড়ে মাহিম ও ওবাইদুল্লাহ নোমান। গভীর রাতে হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে যায় ওবাইদুল্লাহ নোমানের। তার পাশে মাকে না পেয়ে খুঁজতে বাইরে এসে ঘরের পাশে নির্জন স্থানে একজন অচেনা পুরুষ ও তার মাকে দেখে মায়ের কাছে জানতে চায় লোকটি কে ? উত্তর না পেয়ে বড় ভাইকে ডাক দেয়ার জন্য পিছন ফিরে ঘরের দিকে দৌড় দেয়। ঠিক তখনই নোমানের মাথার পিছনে কাঠ দিয়ে আঘাত করে পরকিয়া প্রেমিক আনোয়ার। এতে নোমানের মাথার পিছনে হাড় ফেটে রক্তক্ষরণ হয়। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছটফট করতে থাকে ৮ বছরের শিশু ওবাইদুল্লাহ নোমান।

এরপর গলা টিপে শ্বাসরোধ করে নোমানকে হত্যা করে নরপিচাশ আনোয়ার মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে দুজনে মিলে ওবাইদুল্লাহ নোমানের নিথর দেহ বাড়ির পিছনে পরিত্যক্ত পুকুরে ফেলে দেয়া হয়।

আরও খবর